আওয়ার ইসলাম: ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্কের পর বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এতে বাংলাদেশের নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার যথার্থ প্রতিফলন দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়।
গৃহীত ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং সহিংসতা ও উসকানির পথ পরিহার করে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহাবস্থাস থাকতে হবে।
গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে গণমাধ্যম, শিক্ষার্থী, অধিকার কর্মী ও বিরোধী দলের মত প্রকাশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অধিকার ‘লঙ্ঘিত’ হওয়ায় তারা বেশ উদ্বিগ্ন।
সরকারের ‘সমালোচনা করার কারণে’ মানুষ গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার হচ্ছে এবং দমন-পীড়নের মাত্রা ‘ব্যাপক আকার’ ধারণ করেছে- এমন খবরে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন জরুরি ভিত্তিতে সংশোধন করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে ওই প্রস্তাবে মিয়ানমারের রাখাইনে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় এবং সঙ্কট মোকাবেলায় ‘গঠনমূলক ভূমিকা’ নেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসাও করা হয়েছে।
ইউরোপীয় আইন প্রণেতারা মনে করছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং আত্মমর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে ফেরার মত পরিস্থিতি এখনও সেখানে সৃষ্টি হয়নি। এ কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর পরিকল্পো এই মুহূর্তে স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে তাদের প্রস্তাবে।
প্রিন্স সালমানই খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেন: সিআইএ