আওয়ার ইসলাম: সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান।
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর বরাতে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মুহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়।
এক টুইটার বার্তায় সৌদি যুবরাজ লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো, ওয়াশিংটন পোস্ট আমাদের পুরো মন্তব্য প্রকাশ করেনি। এটি একটি বড় অভিযোগ এবং সোর্সের নাম উল্লেখ না করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা উচিত হয়নি।’
ওয়াশিংটন পোস্টে বলা হয়েছে, যুবরাজ মুহাম্মদের ভাই যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত খালিদ বিন সালমান ফোন করেছিলেন খাশোগিকে। মার্কিন গোয়েন্দাসহ সিআইএ এই ফোন কল বিশ্লেষণ করে জেনেছে, খালিদ বিন সালমান খাশোগিকে কনস্যুলেট ভবন থেকে কাগজপত্র আনার জন্য যেতে উৎসাহিত করেছিলেন।
তবে টুইট বার্তায় মোহাম্মদ বিন সালমান লিখেছেন, ‘আমি ফোনে কখনও তার (খাশোগি) সঙ্গে কথা বলিনি এবং কখনও তাকে তুরস্কের কাছে যেতে বলিনি। আমি এমন দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে তা প্রকাশ করার জন্য মার্কিন সরকারকে অনুরোধ করছি।’
তিনি আরও বলেন, খাশোগির সঙ্গে তার শেষ যোগাযোগ হয়েছিল ২০১৭ সালের অক্টোবরে। সেটাও ছিল একটি ক্ষুদেবার্তা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি দূতাবাসের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি অসত্য বলে মন্তব্য করেছেন। কোনো ভিত্তি ছাড়া অনুমানের ওপর নির্ভর করে এ হত্যার ব্যাপারে নানান থিওরি শুনতে হচ্ছে বলেও ওই বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়েছে।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন ৫৯ বছর বয়সী খাশোগি।
অভিযোগ আছে, তাকে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর সৌদি রাজপরিবারের সমালোচক খাশোগির দেহ টুকরো টুকরো করে রাসায়নিকে ডুবিয়ে কার্যত গলিয়ে ফেলা হয়। এখনও খাশোগির দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি।
প্রিন্স সালমানই খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেন: সিআইএ
এএম