আওয়ার ইসলাম: অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আজ বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে না। জাতিসংঘের আপত্তির মুখে তা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা মিডিয়াকে বলেন, ৫০টি রোহিঙ্গা পরিবারের দেড়শ' জনকে আজ মিয়ানমারে পাঠানোর কথা ছিল। তবে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থাকে তারা বলেছে, তারা কেউই মিয়ানমারে ফিরতে চায় না। এর পর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
বেশ কিছু দিন থেকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দেশের কর্মকর্তারাই প্রস্তুত ছিলেন। যদিও মিয়ানমারের উপযুক্ত পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি বলে জাতিসংঘসহ একাধিক দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন।
জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ট্রানজিট ক্যাম্প দিয়ে আজ সকালে প্রত্যাবাসন শুরু করার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম দিন ১৫০ জন রোহিঙ্গা ফেরত যেতেন।
তবে রোহিঙ্গারা বলছে, রাখাইনে ফেলে আসা বাড়িঘর ফিরে না পেলে এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিত না হলে সেখানে ফিরে যাবে না তারা। এমনকি প্রত্যাবাসনের কথা শুনে অনেক রোহিঙ্গা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার অফিসের মুখপাত্র ফিরাস আল খাতেব বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদার সঙ্গে। রাখাইনে পরিস্থিতি এখনও রোহিঙ্গাদের জন্য অনুকূল না হওয়ায় আমরা স্থগিতের আবেদন জানিয়েছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ফিরে না গেলে তাদের বলপূর্বক সেখানে পাঠানো উচিত হবে না।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তিতে মিয়ানমার সম্মত হয়েছিল দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করবে। সে লক্ষ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়। কমিটির প্রথম সভায় প্রত্যাবাসনের জন্য আট হাজার ৩২ জনের একটি তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে এ পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গার বিষয়ে মিয়ানমার ছাড়পত্র দেয়। ছাড়পত্র দেওয়া এই রোহিঙ্গাদের নিয়ে আজ ১৫ নভেম্বর থেকে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা ছিল।
নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় মির্জা আব্বাসকে আসামি করে ৩ মামলা