আওয়ার ইসলাম: বুধবারের দ্বিতীয় দফা সংলাপ সফল না হলে ও দাবি না মানলে পরদিন (৮ নভেম্বর) রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ। এর পরদিন (৯ নভেম্বর) রাজশাহীতে জনসভা হবে। একে একে খুলনা ও বরিশাল অভিমুখেও রোডমার্চ হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় সভাপতির ভাষণে একথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সংলাপে দাবি না মেনে তফসিল ঘোষণা করা হলে নির্বাচন কমিশন ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করবে ঐক্যফ্রন্ট।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া জেলে যাবার সময় বলেছিলেন, কারাগার আমি ভয় পাই না। দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের নির্দেশনা তিনি (খালেদা) দিয়ে গেছেন।
আজ আমরা জাতীয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ প্রক্রিয়াতেই দুঃশাসন থেকে মুক্তি, জনগণের শাসন নিশ্চিত করা হবে।
আগামীকাল আবার ছোট সংলাপ হবে। আমরা সংলাপে বিশ্বাস করি। কিন্তু নাটক করলে চলবে না। আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) সরে যেতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। আমাদের দাবি দাওয়া মেনে নিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে যোগ করেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র।
ফখরুল বলেন, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ হাজার ৩৭১টি মামলা হয়েছে। আমরা আর গ্রেফতার হতে চাই না, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করবো। জনগণের সরকার গঠন করতে চাই।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।
এছাড়া সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ডা. জাফরুল্লাহ, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রব, সুলতান মো. মনসুর, মোস্তফা মহসীন মন্টু, আবদুল মালেক রতন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আবদুল মঈন খান।
-এটি