আওয়ার ইসলাম: কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর (ইসলামিক শিক্ষা ও আরবি) স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় সংসদে আইন পাস করায় কওমি মাদরাসাগুলোর সম্মিলিত শিক্ষাবোর্ড ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ রোববার (৪ নভেম্বর শুকরানা মহফিল করেন।
শুকরানা মাহফিলের কারণ ও নানান বিষয় নিয়ে ডিবিসি নিউজের মুখোমুখী হয়েছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ।
কেন হেফাজত নেতারা শোকরানা মাহফিল করলেন এ প্রশ্নের উত্তরে মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘এ ধরণের প্রশ্ন সঙ্গত হয়নি। শুকরানা মাহফিল হেফাজত করেনি। করেছে কওমি মাদরাসাগুলোর সম্মিলিত শিক্ষাবোর্ড ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’।
আপনি জানতে চেয়েছেন, কেন শুকরানা মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে? এর উত্তর হলো, কওমি আলেম উলামা দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর (ইসলামিক শিক্ষা ও আরবি) স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এটি কওমি সন্তানদের জন্য অনেক বড় অর্জন।
ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, যেকোনো সফলতা বা অর্জনের পর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। যার মাধ্যমে কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে তারও শুকরিয়া আদায় করতে হবে। এ জন্যই আলেমদের পক্ষ থেকে শোকরানা মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ বোর্ড গঠনের পর দুটি দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, প্রজ্ঞাপনঅনুযায়ী এ দুই শেসনের শিক্ষার্থীরাও মাস্টার্স এর সনদ পাবেন।
এই সনদ দিয়ে কওমি শিক্ষার্থীরা কোথায় কোথায় আবেদন করতে পারবেন এবং কী কী সুবিধা পাবেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘এ সনদ দিয়ে অনেক কিছুই করা যাবে। অনেক সুযোগ পাওয়া যাবে।
তবে আমরা যারা মাদরাসা শিক্ষার সঙ্গে জড়িত, আমরা দুনিয়াবি কোনো সুবিধা পাওয়ার জন্য মাদারাসায় পড়ছি না। শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্যই আমরা দ্বিনী শিক্ষা অর্জন করছি।’
হেফজতে ইসলামের ১৩ দফায় নারী বিদ্বেষী দাবি ছিলো। কিন্তু এখন নারী প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শুকরানা মাহফিল করা হয়েছে এ প্রসঙ্গে মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘হেফজতে ইসলাম কখনোই নারী বিদ্বেষী কোনো দাবি করেনি, নারী নির্যাতন বন্ধের দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম।
ডিবিসি টিভির এ টকশোতে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, মিছাবাহুর রহমান চৌধুরী, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট ও এন আই খান, সাবেক শিক্ষাসচিব।