আওয়ার ইসলাম: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরানা মাহফিল থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শোলাকিয়ার ঈদগাহের ইমাম ও জাতীয় দীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
রোববার (৪ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কমিশন আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত শুকরানা মাহফিলে দেয়া বক্তব্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ দাবি জানান।
কওমি সনদের স্বীকৃতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা উপলক্ষ্যে আল-হাইয়াতুল উলয়া এ শোকরানা মাহফিলের আয়োজন কছে।
সভায় ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, এদেশে কোনো আলেমকে আজও স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়নি। আমি অনুরোধ করবো এদেশের ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য আল্লামা শাহ আহমদ শফী যে অবদান রেখেছেন সেজন্য তাকে স্বাধীনতা পদক দেয়া হোক।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে শোকরানা স্বারক তুলে দেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এছাড়া আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আল্লামা আশরাফ আলীসহ উলামায়ে কেরাম।
আল হাইআতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, হাইআতুল উলইয়ার কো চেয়রম্যান আল্লামা আশরাফ আলী, মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা আবদুল বছির, মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা সাজিদুর রহামান, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, শেখ আবদুল্লাহ, মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতি নুরুল আমিন প্রমুখ।
সকাল ১০টায় সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় শুকরানা মাহফিল। শুরুতেই কুরআন তেলাওয়াত করেন, দুবাই আন্তর্জাতিক কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারকারী হাফেজ তরিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মো. জয়নাল আবেদীন।