আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্মীয় শিক্ষা সংযুক্ত করা হলেই একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ হয়। যে শিক্ষার মাধ্যমে মুসলমানদের জীবন শুরু হয় তাকে অবহেলা করা যায় না। আর এ জন্যই সংসদে আইন পাস করে কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
রোববার (৪ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কমিশন আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত শুকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমেই পূর্ণতা পায়। আমরা এই কওমি শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। পাশাপাশি সংসদের মাধ্যমে আইন পাস করেছি। যাতে পরবর্তী সময় কেউ এ স্বীকৃতি খর্ব করতে না পারে।
কওমি শিক্ষার স্বীকৃতির বিষয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা অসহায় এতিমদের জায়গা দেন। তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, আপনারা তাদের জন্য শেষ ঠিকানা। এত কিছুর পর আপনাদের স্বীকৃতি থাকবে না তা তো হয় না।
তিনি বলেন, আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করি না। আমাকে মেরে ফেলার জন্য আমার ওপর বারবার হামলা করা হয়েছে। আল্লাহ আমাকে বারবার বাঁচিয়েছেন। দেশের মানুষের সেবা করার জন্যই হয়তো আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমি মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছি। যাতে তারা তাদের যে কোনো প্রয়োজনে এ টাকা ব্যবহার করতে পারে।
‘আমি চাই দেশের মানুষ সবাই ভালো থাক। দেশের একটি মানুষও যাতে না খেয়ে থাকে, সে লক্ষ্যে আমার সরকার দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে শোকরানা স্বারক তুলে দেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এছাড়া আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আল্লামা আশরাফ আলীসহ উলামায়ে কেরাম।
আল হাইআতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, হাইআতুল উলইয়ার কো চেয়রম্যান আল্লামা আশরাফ আলী, মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা আবদুল বছির, মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা সাজিদুর রহামান, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, শেখ আবদুল্লাহ, মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আবু তাহের নদভী প্রমুখ।
সকাল ১০টায় সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় শুকরানা মাহফিল। শুরুতেই কুরআন তেলাওয়াত করেন, দুবাই আন্তর্জাতিক কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারকারী হাফেজ তরিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মো. জয়নাল আবেদীন।
আল্লামা শাহ আহমদ শফীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা নূরুল আমিন।