আওয়ার ইসলাম: ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রথম দল ফিরে যাচ্ছে আপন ঘর আর নিজ দেশ মিয়ানমারে।
ওই দলে থাকছে ৪৮৫ পরিবারের ২ হাজার ২৬০ জন সদস্য। এর মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে।
শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। তিনি জানান, ঢাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার তৃতীয় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।
এরই মধ্যে রাখাইনে ট্রানজিট ক্যাম্প এবং গ্রামগুলোতে রোহিঙ্গাদের জন্য বাড়িঘর নির্মাণের কাজও চলছে।সচিব আরও জানান, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে এ প্রত্যাবাসন কাজ শুরু হচ্ছে।
তবে প্রত্যাবাসন শেষ হতে কত সময় লাগবে সে ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে মিয়ানমারকে যাচাই-বাছাই-এর জন্য আরও ২২ হাজার রোহিঙ্গা সদস্যের তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসেছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এদিন সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ বিষয়ক অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাহিদা সোবহান ইউএনএইচসিআরের প্রধানসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দু'দিন আগে জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘকে বাদ রাখার চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়।
এ ব্যাপারে আলোচনার জন্যই মহাপরিচালক জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠান। বৈঠকে ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তারা এ অভিযোগককে জাতিসংঘ দপ্তরের তথ্যগত ভুল বলে উল্লেখ করেছেন।
শুকরানা মাহফিল বাস্তবায়নে হাইআতুল উলয়ার ব্যাপক প্রস্তুতি