শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ভারতে ১৬ পুলিশের যাবজ্জীবন ৪২ মুসলমানকে হত্যার দায়ে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের উত্তরপ্রদেশের মেরুত জেলায় ১৯৮৭ সালে ৪২ জন নিরস্ত্র মুসলমানকে হত্যার দায়ে দেশটির অবসরপ্রাপ্ত ১৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।

নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে বুধবার বিচারপতি এস মুরালিধর এবং বিনোদ গুয়েলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দীর্ঘ ৩১ বছর পর নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের বিচারকে ন্যায়বিচার বলে অভিহিত করেছেন নিহতদের স্বজন ও মানবাধিকার কর্মীরা।

নিরস্ত্র ও নিরপরাধ ৪২ জন মুসলমানকে হত্যা করে লাশগুলোকে খালে ভাসিয়ে দেয়ার দায়ে ওই কর্মকর্তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এটি ছিল ১৯৮৭ সালে মেরুত জেলায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ একটি ঘটনা। পুলিশের ওই সশস্ত্র হামলাকে সুনির্দিষ্ট হত্যাকাণ্ড বলে আখ্যা দেন বিচারকেরা।

২০১৫ সালে নিম্ন আদালত উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার এই কর্মকর্তাদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ঘাটতির কারণ দেখিয়ে খালাস দিয়েছিল। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ এই রায়কে বাতিল করে দিয়ে বলেন, তারা ‘নিরস্ত্র ও অসহায় মানুষকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল’।

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানায়, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপহরণ, হত্যা ও প্রমাণ ধ্বংস করার দায়ে আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছে। শুরুতে এ ঘটনায় অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল মোট ১৭ জন।

তাদের মধ্যে বিচার চলাকালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। কোর্টে প্রমাণ হিসেবে জমা দেয়া ভয়াবহ ছবিতে দেখা যায়, ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশি পাহারায় মুসলমানরা সারিবদ্ধভাবে হাঁটু গেড়ে বসে আছে, আর তাদের দিকে বন্দুক তাক করে রাখা হয়েছে। এই ঘটনা ‘হাসিমপুরার গণহত্যা’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরিয়া মাহফিল ৫ নভেম্বর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ