আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে সংলাপে বসতে যাচ্ছে, তাতে শেষ মুহূর্তে বিএনপির দুই জন ও ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের তিন জন নেতা যুক্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
তাই ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে বিএনপির আছেন সবচেয়ে বেশি সাত জন, এর পরেই আছে ছয় জন। আবার ড. কামাল হোসেনের আরেক উদ্যোগ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ারও দুই জন নেতা যাচ্ছেন গণভবনে।
যদি তাদেরকে কামালের অনুসারী ধরা হয়, তাহলে বিএনপিকে এই প্রতিনিধি দলে সংখ্যালঘুই বলা যায়।
আজ সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে বসতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত এই সংলাপ। গত রবিবার ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের চিঠি পেয়ে এই সংলাপের দিনক্ষণ ঠিক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চিঠি পেয়ে সংলাপে যেতে ১৬ নেতাকে নির্বাচন করে ঐক্যফ্রন্ট।
আর সংলাপ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে আরও পাঁচজনকে যুক্ত করে তারা। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে দেয়া এক চিঠিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহও যোগ দেবেন সংলাপে।
এর আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৬ জন নেতাকে সংলাপের জন্য চূড়ান্ত ঐক্যফ্রন্ট। সেখানে বিএনপির নেতা ছিলেন পাঁচ জন।
এর বাইরে জেএসডি ও গণফোরাম থেকে তিনজন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও নাগরিক ঐক্য থেকে দুই জন করে এবং এর বাইরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী থাকবেন বলে ঠিক হয়।
আর এদের বিপরীতে আওয়ামী লীগ যে ২১ জনকে নির্বাচন করে, তাদের মধ্যে শরিক দল কেবল চারজন। বাকি ১৭ জনই ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতা।
অরক্ষিত সুন্দরবনের সুরক্ষার দায় কার?