আওয়ার ইসলাম: ৩ বছরে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে পুরুষের অভিবাসন ব্যয় কমেছে ১০ শতাংশ। একই সময় নারীর অভিবাসন ব্যয় কমেছে ৭ শতাংশ।
তবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে পুরুষের রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে ১১ শতাংশ। কিন্তু নারীর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
গতকাল বাংলাদেশের উন্নয়নে অভিবাসনের ভূমিকা নিয়ে এক গবেষণাধর্মী বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়। তাতে এ তথ্য জানায় অভিবাসনবিষয়ক সংগঠন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট।
ড. তাসনিম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে এ জরিপ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন ড. অনন্ত নীলিম, ড. সি রাশাদ শাবাব ও মাহমুদুল হাসান।
তারা বলছেন, মুদ্রাস্ফীতিকে হিসেবে আনলে প্রকৃতভাবে অভিবাসন ব্যয় কমেছে ২৫ শতাংশ। এ তিন বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহও কমেছে টাকার অংকে ১১ শতাংশ। আর মুদ্রাস্ফীতিকে আমলে নিলে তা ২৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন জরিপের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, জাতীয়ভাবে ২০১৬-১৭ বছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে অনেকেই অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় রেমিট্যান্স প্রেরণ বৃদ্ধি হয়েছে বলে দাবি করছে। কিন্তু জরিপ ফলাফল তা চ্যালেঞ্জ করছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. কেএএস মুরশিদ অভিবাসনের সামাজিক মূল্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ফিরে আসার পরে আন্তর্জাতিক অভিবাসীদের যে সাময়িক বেকারত্ব হয়, তা তাদের অনেক সময় দারিদ্র্য সীমার নিচে নিয়ে যায়।
গণমাধ্যমে প্রথম সাক্ষাৎকারেই সবার মন জয় করেছেন বুশরা বিবি