আওয়ার ইসলাম: হাইকোর্ট বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে।
গঠনতন্ত্র নিয়ে আপত্তি এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে ইসিকে। এর ফলে বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
বিএনপির এর আগের গঠনতন্ত্রের সাত ধারায় ছিলো দন্ডিত ও দুর্নীতিগ্রস্তরা দলের নেতৃত্বে থাকতে পারবে না। ২০১৬ সালের দলীয় কাউন্সিলে ধারাটি সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
পরে এ বছরের জানুয়ারিতে সাত নম্বর ধারাটি বাতিল করে সংশোধন হয় গঠনতন্ত্র। এর ফলে দণ্ডিতদেরও দলটির নেতৃত্বে থাকার সুযোগ তৈরি হয়।
এই সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন রাজধানীর কাফরুলের মোজাম্মেল হোসেন। একইসাথে তিনি হাইকোর্টেও রিট করেন।
বুধবার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মুহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়। এতে বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন কেন বেআইনি ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে।
তবে, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনের দাবি, সংশোধিত গঠনতন্ত্র আগেই নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছে। ফলে আদালতের আদেশ এখন অকার্যকর।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসবেন ঐক্যফ্রন্টের ১৬ নেতা
-এটি