আওয়ার ইসলাম: ইন্দোনেশিয়ার জাভা উপদ্বীপের উত্তরে লায়ন এয়ারওয়েজের বিমান দুর্ঘটনায় ১৮৯ যাত্রীর মধ্যে কেউই বেঁচে নেই। শক্তিশালী গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে বিমানটি ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পর ১৮৯ আরোহী নিয়ে একটি লায়ন এয়ার বোয়িং বিমান সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে।
ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে জাকার্তা থেকে কম খরচের বিমান সংস্থা লায়ন এয়ার ওই ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করে।
কিছুক্ষণ পর বিমানটি যখন সমুদ্র অতিক্রম করছিল তখন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ওই বিমানটি জাকার্তা থেকে সুমাত্রার পাংকাল পিনাং যাচ্ছিল। বিমানটিতে ১৭৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক, এক সদ্যজাত, দুই শিশু, দুজন পাইলট ও পাঁচজন কেবিন ক্রু ছিল।
দেশটির জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ এএফপিকে বলেন, ‘বিমানটি পানির ৩০ থেকে ৪০ মিটার গভীরে বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা এখন বিমানটির খোজে অনুসন্ধা্ন চালাচ্ছি।’
অনুসন্ধানকারী ও রেসকিউ সংস্থা টুইটারে জানিয়েছে, আইডি কার্ড ও ড্রাইভারের লাইসেন্সসহ বিমানে থাকা আরোহীদের অন্তর্গত জিনিসগুলো পানিতে পাওয়া গেছে।
এয়ারলাইনের প্রধান নির্বাহী এডওয়ার্ড সিরাত রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এই মুহুর্তে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। আমরা সব তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি।’
তানজং প্রিয়ক বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ান গণমাধাম্য জানায়, ‘টগবোটটি ধ্বংসাবশেষ পানিতে দেখেছে।’ এদিকে উদ্ধারকারীরা অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
আরো পড়ুন-
৭ বছরে নেপালে ১৫টি প্লেন বিধ্বস্ত
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী
এটি/আওয়ার ইসলাম