আওয়ার ইসলাম: অশান্তি, গণহত্যা এবং নির্যাতনের নীতি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন অসম্ভব করে তুলেছে। মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি এখনও নাজুক।
এসবই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন অসম্ভব করে তুলেছে বলে মনে করেন জাতিসংঘের তদন্তদলের সদস্যরা।
জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত মিয়ানমারের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম অং সান সুচির সময়ে পরিস্থিতি অতিতের তুলনায় ভিন্ন হবে কিন্তু পরিস্থিতি একটুও বদল হয়নি।
জনগনের জন্য পূর্ণ মাত্রায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নূন্যতম ইচ্ছা দেশটির সরকারের নেই।’ লি আরো মনে করেন নোবেল শান্তিজয়ী একজন মানুষ হিসেবে সুচির ৭ লক্ষাধিক পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্বায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানানোর মধ্য দিয়ে আইনের প্রতি তার অশ্রদ্ধারই বহি:প্রকাশ ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘যদি আইনের শাষণ প্রতিষ্ঠিত হয় তবে মিয়ানমারের সকল নাগরিকই সুবিচার পাবে।। নচেৎ আইন নির্যাতকের অস্ত্র হিসেবেই ব্যবহার হবে।’
জাতিসংঘ ফ্যঅক্ট ফাইন্ডিং মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসমানও এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন। তিনি মনে করেন মিয়ানমারের সরকারের অনিচ্ছাই শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রধানতম বাঁধা।
তিনি মনে করেন মিয়ানমারের সরকারের আচরণ না বদল হরে তা শুধু বর্তমানকেই নয় ভবিষ্যতকেও ক্ষতিগ্রস্থ করবে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের সামরিক অভিযান গণতন্ত্রকে সংকুচিত করেছে বলেও মনে করেন দারুসমান। ম্যানিলা টাইমস
আরো পড়ুন-
‘সব ইহুদিকে মরতে হবে’ বলেই গুলি, নিহত ১০
বিশ্বসেরা প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় মাহমুদ মাদানী
এটি/আওয়ার ইসলাম