জাতীয় সংসদে কওমি মাদরাসা বিল পাস হওয়ায় দেশের উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে শুকরিয়া মাহফিল ৫ নভেম্বর থেকে এগিয়ে ৪ নভেম্বর আনা হয়েছে।
হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের বৈঠকে আজ এ সিদ্ধান্ত নেন আলেমগণ।
শনিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টা থেকে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক অফিসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে তারিখ পরিবর্তন ছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী মাদরাসাসমুহের মুহতামিমদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মতিঝিলের পীরজঙ্গি মাদরাসায়।
বৈঠকে উপস্থিত মুহতামিমদের মতামতসহ শুকরিয়া মাহফিলের কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।
কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ অথরিটি হাইআতুল উলইয়ার দফতর সম্পাদক মাওলানা ওয়াসিউর রহমান আওয়ার ইসলামকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন।
এছাড়াও শুকরানা মাহফিলে দেশের সব কওমি মাদারাসা কর্তৃপক্ষকে দাওয়াত করা হবে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে মাদরাসার মুহতামিম, শিক্ষক ও বড় শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন বলেও জানা যায়।
হাইআতুল উলইয়ার জরুরি এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা আশরাফ আলী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি নূরুল আমিন, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা ওয়াসিউর রহমান, মাওলানা সফিউল্লাহ, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা মুশকাত আহমদ, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা আবদুল খালেক প্রমুখ।
জাতীয় সংসদে কওমি মাদরাসা বিল পাসে ভূমিকা রাখায় শুকরিয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। একই সঙ্গে অসামান্য অবদান রাখায় আলেমদের পক্ষ থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকেও সংবর্ধনা দেয়া হবে অনুষ্ঠানে।
গত ২২ অক্টোবর গণভবনের আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে আলেমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে সাক্ষাৎ করলে আলোচনার মাধ্যমে ৫ নভেম্বর চূড়ান্ত হয় শুকরিয়া মাহফিলের।
জানা যায়, ৪ নভেম্বর রাতে নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। তফসিলের পর সোহরাওয়ার্দীতে এ ধরনের অনুষ্ঠান নানা সমস্যার মুখে পড়তে পারে বলে তারিখ একদিন এগিয়ে আনা হয়।
এছাড়াও আজকের বৈঠকে পূর্ব গঠিত মাহফিল কমিটির ১৫ সদস্যকে বাড়িয়ে ১৭ জন করা হয়েছে। আগের ১৫ জনের সঙ্গে নতুন যুক্ত করা হয়েছে, খিলগাঁও মাখযানুল উলুমের মুহতামিম মাওলানা নূরুল ইসলাম ও পীরজঙ্গী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সফিউল্লাহকে।
বাকি ১৫ সদস্য হলেন, কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, (বেফাক থেকে) বেফাকের সহসভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা আনাস মাদানী, মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক ও মুফতি নুরুল আমিন।
অন্য বোর্ড থেকে, আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী, মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা আবদুল বছির।
হাইআতুল উলইয়ার বৈঠক; প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা এ মাসেই
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরিয়া মাহফিল ৫ নভেম্বর