আওয়ার ইসলাম: বর্তমান এ মুহূর্তে সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে থাকলেও চুক্তি অনুযায়ী শুধু গত বছরের অগাস্টের পর থেকে আসা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে৷
প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ থেকে যে আট হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়েছিল, যাচাই-বাছাই করে তাঁদের নিজেদের বাসিন্দা বলে স্বীকার করে নিয়েছে মিয়ানমার৷
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মধ্যে গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷ পরে আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমার৷
গত ডিসেম্বরে এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৬৭৩টি পরিবারের ৮ হাজার ২ জন রোহিঙ্গার নাম পাঠানো হয়৷ গত ফেব্রুয়ারিতে এই তালিকা পাঠানো হলেও তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতেই এই সময় লাগল৷
রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে মানতেনারাজ মিয়ানমারের সরকার চুক্তি করলেও প্রত্যাবাসনে গড়িমসি করে আসছে বলে বাংলাদেশ সরকারের অভিযোগ৷ তাই মিয়ানমারের উপর চাপ বাড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উপর আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ৷
আরো পড়ুন- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হচ্ছে ৩ ইসলামি দল
আরএম/