আওয়ার ইসলাম: বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি বিভিন্ন ঝড়ের নামকরণ করে থাকেন। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে মূলত এই সংস্থার আট দেশ। সেই আট দেশ হলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান।
এসব দেশের প্রস্তাব অনুসারে একটি তালিকা থেকে একটির পর একটি ঝড়ের নামকরণ করা হয়। যেমন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'তিতলি'র নামকরণ করেছে পাকিস্তান। 'তিতলি' শব্দের অর্থ প্রজাপতি। এরপরের ঝড়টির নাম হবে গাজা। এ নামটি প্রস্তাব করেছে থাইল্যান্ড।
এ ছাড়া এ অঞ্চলের জন্য আরও ৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ইতোমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেগুলো থেকে পর্যায়ক্রমে একেকটি ঝড়ের নামকরণ করা হবে। গাজার পর আসবে ফেতাই। এ নামটি শ্রীলঙ্কার দেয়া।
কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
এরপরের ঝড়ের নামগুলো হবে- ফানি (বাংলাদেশ), ভায়ু (ভারত), হিকা (মালদ্বীপ), কিয়ার (মিয়ানমার), মহা (ওমান), বুলবুল (পাকিস্তান), পাবান (থাইল্যান্ড), আম্ফান (শ্রীলঙ্কা)।
ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে গতকালও দিনভর কখনো থেমে, কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছিল আকাশ ছিল মেঘলা। দুপুরের পর থেকে বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিতলির প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলের বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় তিতলি ছাড়াও এই একই সময়ে বিশ্বে আরও দু’টি ঘূর্ণিঝড় সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মাইকেল যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে। আর কঠিন রূপ ধারণের অপেক্ষায় রয়েছে ঘূর্ণিঝড় লুবান। এটিও আঘাত হানতে পারে ভারতে।
আরো পড়ুন-
সারা বিশ্বে ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকতে পারে ইন্টারনেট
মহাসমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনের ১০ দফা দাবি
অ্যারাবিক ক্যালিগ্রাফিতে ধর্মীয় প্রশান্তি অনুভূত করি: আফসানা মিমি