আওয়ার ইসলাম: জর্ডান সীমান্তে হাজার হাজার সিরিয়ান শরণার্থী খাবারের অভাবে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়ে আছে।
আলকাবান শরণার্থী ক্যাম্পে খাদ্যের অভাবে তারা মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা।
অনাহার ও শিক্ষার অভাবে গুরুতর অভাবের মুখোমুখি হচ্ছে সিরিয়ান সংবাদ সংস্থার মতে, শরণার্থী শিবিরে খাদ্য ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদাগুলোর গুরুতর চাহিদা রয়েছে।
জর্ডান কর্তৃপক্ষ সিরিয়ার শরণার্থীদের সমর্থন প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে। সীমান্তের অন্য দিকে আল-কায়েদা ভিত্তিক আশ্রয় শিবিরে সিরিয়ার সেনাবাহিনীও জোরজবরদস্তি করে তাদের উপর নির্যাতন করে।
জর্ডানের উত্তর-পূর্ব ও ইরাক সীমান্তে একটি উদ্বাস্তু শিবিরে ৫ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হিসেবে আসে। তারা বেশিরভাগই শিশু। আবু আব্দুল্লাহ, একজন সিভিল অফিসার কর্মকর্তা, তিনি বলেন, শিবিরে এক সপ্তাহের জন্য কোনও ত্রাণ গাড়ি প্রবেশ করেনি।
ক্যাম্পে জায়গাও খুব সীমিত রয়েছে। কিছু লোক তাদেরকে পাচারের চেষ্টা করছে। ত্রাণ সরবরাহের যারা চেষ্টা করছে তাদের সংখ্যাও খুব কম।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ধারাবাহিক রুশ বিমান হামলা আরও জোরালো হওয়ার কারণে তুরস্কের সীমান্তের দিকে ধেয়ে যাচ্ছেন লাখো শরণার্থী; এই সিরীয় শরণার্থীদের সংখ্যা ৭০ হাজারের কাছাকাছি বলে উল্লেখ করেছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু।
বৃহস্পতিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘সিরিয়া এইড কনফারেন্সে’-এ শরণার্থীদের নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন আহমেত দাভুতোগলু।
তিনি বলেছেন, ‘আমি লন্ডনে থাকলেও আমার মন পড়ে আছে দেশের সীমান্তে। আলেপ্পোতে রুশ বিমান হামলার কারণে কিলিস সীমান্তে ১০ হাজার শরণার্থী অপেক্ষা করছে। ৬০ থেকে ৭০ ভাগ শরণার্থী আলেপ্পোর উত্তরাঞ্চলে অপেক্ষা করছে তুরস্কে যাবার জন্য।
নতুন এই শরণার্থীদের কোথায় জায়গা দেওয়া হবে? আলেপ্পোতে বাসকারী তিন লাখ মানুষ এখন তুরস্কে যাওয়ার পথ খুঁজছে।’
সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর দেশটির বিশ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক কিন্তু আরও শরণার্থীকে তারা এখন আশ্রয় দেবে কিনা সেটা এখন পরিস্কার নয়।
নতুন করে যে শরণার্থীদের ঢল নেমেছে, তাদের আশ্রয় দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিক থেকেও চাপের মুখে আছে তুরস্ক। তবে দেশে আশ্রয় না দিতে চাইলেও সীমান্তে তাদের খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তুরস্ক।
সূত্র: গার্ডিয়ান, আল-আরাবিয়া
আরো পড়ুন-
সারা বিশ্বে ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকতে পারে ইন্টারনেট
মহাসমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনের ১০ দফা দাবি
অ্যারাবিক ক্যালিগ্রাফিতে ধর্মীয় প্রশান্তি অনুভূত করি: আফসানা মিমি