আওয়ার ইসলাম: ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্রের উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজ্য দুটির উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। খবর আনন্দবাজার।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের ওপরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।
আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে- গঞ্জাম, পুরী, খুরদা, কেন্দ্রাপড়া ও জগৎসিংহপুর থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ এবং আগামীকাল এ সকল এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, উড়িষ্যার গোপালপুরে আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে আঘাত হানার সময় এ ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার।
এর আগে গতকাল আবহাওয়া দপ্তর জানায়, বুধবার রাত থেকে দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূল ঘণ্টায় ১৪০-১৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় প্রবাহিত হবে। ঘণ্টায় এ গতিবেগ ১৬৫ কিলোমিটারও হতে পারে। দক্ষিণ উপকূলে ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার পর্যন্ত উড়িষ্যা উপকূল এবং মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকার জেলেদের সতর্ক করা হয়েছে।
দপ্তরের কর্মকর্তা এইচ আর বিশ্বাস বলেন, আগামী ১৮ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়াবে ঘূর্ণিঝড়টি। আগামীকাল ভোরে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে সরে গোপালপুর ও কলিঙ্গপত্তনম হয়ে উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশ পৌঁছাবে এটি। এরপর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে সরতে সরতে শক্তি কমবে তিতলির।
বিশেষ ত্রাণ-কমিশনার বিপি শেট্টি জানিয়েছেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ছয়টি দল, উড়িষ্যার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ১১টি দল ও দমকল বাহিনী প্রস্তুত আছে। বিশাখাপত্তমন থেকে নৌবাহিনীর বিশেষ ডুবুরি দল চিল্কায় গেছে। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছে ৩০০টি মোটরবোট।
কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
‘শাপলার ঘটনার সঙ্গে কওমি স্বীকৃতির সম্পর্ক নেই; এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন’
-আরএম