শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন ‘তিতলি’?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্রের উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার। আজ  বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজ্য দুটির উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। খবর আনন্দবাজার-এর।

বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বুধবার সন্ধ্যায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার ও কক্সবাজার থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘তিতলি’। কিন্তু কেন এবং কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের এই নামকরণ হলো তা জানেন কি?

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের মানুষেরা গত কয়েকশো বছর ধরে আটলান্টিক মহাসাগর এলাকায় উৎপন্ন হওয়া ঝড়গুলোর নাম দিয়ে আসছে। শুরুতে নিজেদের অঞ্চলের ঝড়গুলোকে বিভিন্ন নামে ডাকতো তারা। ১৯৪৫ সাল থেকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে শুরু হয় ঝড়ের আনুষ্ঠানিক নামকরণ।

বিভিন্ন দেশের প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল ঘূর্ণিঝড়ের নাম চূড়ান্ত করে থাকে। পূর্বাভাস দেওয়াতে সুবিধা এবং সাধারণ মানুষের কাছে পূর্বাভাস ও সতর্কতা বোধগম্য করতেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়ে থাকে।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশের পাঠানো নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নামকরণ করা হয়। বিভিন্ন অঞ্চলের ঝড়ের নাম চূড়ান্ত করার দায়িত্বটি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন প্যানেলের হাতে ন্যস্ত থাকে।

যেমন-উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঝড়গুলোর নামকরণের দায়িত্ব ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের। এক্ষেত্রে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আট দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড থেকে আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নাম প্রস্তাব করা হয়।

প্রতিটি দেশের আটটি করে প্রস্তাবিত নাম নিয়ে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরে বৈঠকের মাধ্যমে মোট ৬৪টি নামের তালিকা তৈরি হয়। আর সে তালিকা অনুযায়ীই পর্যায়ক্রমে ঝড়ের নামকরণ হয়।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের সেই তালিকা অনুযায়ীই এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘তিতলি’। ‘তিতলি’ নামটির প্রস্তাব এসেছে পাকিস্তানের কাছ থেকে।

হিন্দি ভাষার শব্দ ‘তিতলি’ অর্থ ‘প্রজাপতি’। অর্থাৎ এবার পাকিস্তানের প্রস্তাবিত নামটিই ঝড়ের নাম হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ঝড়ের ক্ষেত্রে তালিকার পরের নামটি নেওয়া হবে। সেটি প্রস্তাব করেছে অন্য আরেকটি দেশ।

কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন

‘শাপলার ঘটনার সঙ্গে কওমি স্বীকৃতির সম্পর্ক নেই; এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন’

-আরএম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ