আওয়ার ইসলাম: জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া ঢাকার মুহতামিম, গুলশান আজাদ মসজিদের খতিব ও বেফাকের সহসভাপতি মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেছেন, কিছুদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মধ্যে পরস্পর বিভ্রান্তিকর বাদ প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে। যা আমাদের জন্য শোভনীয় নয়।
তিনি বলেন, কোনো সমস্যা দেখা দিলে সুষ্ঠু সমাধান বের করা সবার কাম্য হওয়া উচিত। বিশেষভাবে দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরব্বি শাইখুল ইসলাম হজরত হোসাইন আহমদ মাদানি রহ. আস্থাভাজন ও বিশিষ্ট খলিফা আল্লামা শাহ আহমদ শফী হাফিজাহুল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক ও সমালোচনা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আমি মনে করি আলেমদের এসব বিষয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে নিজেদের ঐক্য সুসংহত করার প্রয়োজনে এহেন দুঃখজনক সমালোচনা পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য।
আজ (৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সদস্য আল্লামা মাহমূদুল হাসান বলেন, কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি ঘিরে আজ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে অথচ এ স্বীকৃতি আদায়ের পক্ষে ছিলেন পটিয়ার হাজি ইউনুস রহ., আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী রহ., আল্লামা নূরুদ্দীন গহরপুরী রহ., খতিব উবায়দুল হক রহ., শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. ও মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ., মাওলানা মুহিউদ্দীন খান প্রমুখ।
তাদের সবাই স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা করেছেন, যা আল্লামা আহমদ শফী এবং সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক চেষ্টা প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের পূর্বাপর মুরব্বিদের গায়ে আঘাত লাগে এমন মতামত ও বক্তব্য পেশ করা উচিত নয়। এটি দেশ ও জাতির জন্য অশুভনীয়।
যা আমাদের সবার জন্য মোটেও কাম্য নয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বৃহত্তর সার্থে সঠিক পথে চলার তওফিক দান করুন।
ইসলামের ১১তম খলিফা দাবি করে গ্রেফতার পাকিস্তানি (ভিডিও)
-আরআর