আওয়ার ইসলাম: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এ স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর ফলে আইনটি চূড়ান্তভাবে কার্যকর হয়ে গেলো।
জানা যায়, সোমবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সাতটি বিলে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল-২০১৮’ পাস হয়। এ আইনের বহুল আলোচিত ৩২ ধারাসহ কয়েকটি ধারা নিয়ে সাংবাদিক সমাজ আপত্তি জানিয়ে এসেছে।
এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠকও করেন তথ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে সাংবাদিকগণ তাদের দেয়া সংশোধনীগুলো বিবেচনা করার অনুরোধ করলেও তা রাখা হয়নি।
সাংবাদিকরা বেশ কয়েকটি ধারায় আপত্তি করে একে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি’ বলেও আখ্যা দেন।
এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন আইন, তথ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। সেখানে গণমাধ্যমের আপত্তিতে থাকা ধারাগুলো আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় জোর দিয়ে বলেছেন, যাদের অপরাধ করার ইচ্ছা নেই সেসব মিডিয়ার কোনো সমস্যা হবে না এ আইনে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হবে। এ ছাড়া পুলিশকে পরোয়ানা ও কারও অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এই আইনে ঢোকানো হয়েছে ঔপনিবেশিক আমলের সমালোচিত আইন ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’।
আইনের ১৪টি ধারার অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় বসে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এই আইন লঙ্ঘন হয়, এমন অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে এই আইনে বিচার করা যাবে।
এই আইনের অধীনে সংগঠিত অপরাধ বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে। অভিযোগ গঠনের ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে।
এ সময়ে সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ ৯০ কার্যদিবস সময় বাড়ানো যাবে। আইনে বলা হয়েছে, তথ্য অধিকারসংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর বিধানাবলি কার্যকর থাকবে।
আইনে ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ; মানহানিকর তথ্য প্রকাশ; ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত; আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে অপরাধে জেল জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সম্পাদক পরিষদের কাছে কিছু কথা
-আরআর