শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল দুর্গাপুরে আগুনে পুড়ল কৃষকের গরু-ছাগল-গোয়ালঘর অন্যায় ভাংচুর যেভাবে অপরাধ, তথ্যসন্ত্রাসও তেমন অপরাধ: বায়তুল মোকাররমের খতিব বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতিতে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় শুরু

‘মুফতি ইজহার হেফাজতের কেউ নন, তার দাবি পাগলের প্রলাপ’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: আধ্যাত্মিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বিরুদ্ধে আজ ৭ অক্টোবর দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত “আল্লামা শফীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও হেফাজতের শুদ্ধি প্রক্রিয়া” শীর্ষক প্রতিবেদনে মুফতি ইজহারুল ইসলামের বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

আজ বাদে আছর সংগঠনের হাটহাজারীস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভা আমীরে হেফাজত আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা হাফেয তাজুল ইসলাম, যুগ্নমহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ, মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দিন, মাওলানা আশরাফ আলী নেজামপুরী, মাওলানা ইসহাক মেহেরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুহাম্মদ আনাস মাদানী ও মাওলানা মুফতি রহিমুল্লাহ প্রমুখ।

হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বলা হয়, মুফতি ইজহারুল ইসলাম হেফাজতের কেউ নন। আগেও ছিলো না এখনও নেই। যিনি হেফাজতের দায়িত্বশীলই নন, তিনি আবার হেফাজত আমীরকে বহিষ্কার করবেন! এটা পাগলের প্রলাপ।

তারা বলেন, হেফাজতে ইসলাম দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামের বৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে দেশের উলামায়ে কেরাম হেফাজতের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।

মুফতি ইজহার দাবি করেছেন, তিনি হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা নায়েবে আমীর। প্রতিষ্ঠাতা তো অনেক দূরের বিষয়, তিনি হেফাজতেরও কেউ নন। হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা একমাত্র শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

তার দাবি, আমি হেফাজত ছাড়ছি না। হেফাজতে থাকলেই তো ছাড়ার প্রশ্ন থাকবে। যেখানে হেফাজতেই নেই, সেখানে আমি ছাড়ছি না- কথাটির কী অর্থ হতে পারে বোদ্ধামহল বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারবেন।

আবার বলেছেন, হেফাজতের নায়েবে আমীরের পদে থেকেই আমীরের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাকে ভবিষ্যতে বহিষ্কার করা হবে। তার এসব দাবি পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে। পরন্তু তার দাবি ও স্বঘোষিত নায়েবে আমির এবং মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ. এর আজীবন মুখপাত্রের মিথ্যা দাবি কেবল উদ্ভট উদ্ভ্রান্ততা।

মাসিক মদীনা সম্পাদক মরহুম মাওলানা মুহি উদ্দিন খান রহ. এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সে একজন মানসিক রোগী। তাছাড়াও তিনি একজন জনবিচ্ছিন্ন আলেম।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিগত ১ অক্টোবর হাটহাজারী মাদরাসায় চট্টগ্রাম জেলা বেফাক কর্তৃক আয়োজিত পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আমীরে হেফাজত আল্লামা শাহ আহমদ শফী স্পষ্ট বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগ হয়ে যাইনি। যারা তাকে আওয়ামী লীগ বলেছেন তারা মিথ্যাবাদী। মিথ্যাচার কখনো স্থায়ী হয় না।

তিনি তার আদর্শে অবিচল রয়েছেন এবং হেফাজতের সমস্ত দাবি দাওয়ার বিষয়ে অটল রয়েছেন। তিনি আদর্শচ্যুত হয়ে যাননি। প্রকৃত ঘটনা না জেনে না বুঝে কারো বিরুদ্ধে মন্তব্য করা সুস্থ মস্তিষ্কের পরিচায়ক নয়।

আমরা স্পষ্ট উল্লেখ করতে চাই, কওমি মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়টি দেশের প্রসিদ্ধ ৬ টি বোর্ডের নেতৃবৃন্দের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান সরকারের সাথে আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে সরকার প্রধান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এম.এ এর সমমান ঘোষণা করেছেন; যা সকল কওমি উলামাদের দীর্ঘদিনের দাবি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আল্লামা তাকি উসমানির বিশেষ নসিহত

আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে এই দাবি সফলভাবে আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। কওমি মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি আর হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি এক নয়।

তারা আরো বলেন, সনদের স্বীকৃতি এটা আমাদের অধিকার। নাগরিক হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রে আমাদের অবদানও কম নয়। সনদের স্বীকৃতির বিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানানো মানে সরকারের কাছে কওমী উলামায়ে কেরামদেরকে বিক্রি করে দেয়া নয়।

আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃতে কওমি উলামায়ে কেরামের বিজয় নিশ্চিত হওয়াতে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তা মেনে নিতে পারছে না। তারা ইনিয়ে বিনিয়ে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে শাপলার ট্রাজেড়ির সাথে বিমুখতা প্রদর্শন বলে ব্যর্থ প্রমাণ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে আসছে।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলতে চাই, আল্লামা শাহ আহমদ শফী কোন প্রলোভনে উদ্ধুদ্ধ হননি এবং কারো কাছ থেকে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করেননি। তিনি হেফাজতের আদর্শ থেকেও চুল পরিমাণ বিচ্যুত হননি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে কিংবা টাকা নেয়ার যেসব অনৈতিক উদ্ভট গল্প উপস্থাপন করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং হুযুরের সম্মান ও মর্যাদা বিনষ্ট করার জঘন্য ষড়যন্ত্র। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সকল মহলকে এসব অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্যে আহ্বান জানাচ্ছি।

মোটা অংক; কওমি সনদের স্বীকৃতি: বুঝার ভুল; না বুঝার ভান

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ