শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল দুর্গাপুরে আগুনে পুড়ল কৃষকের গরু-ছাগল-গোয়ালঘর অন্যায় ভাংচুর যেভাবে অপরাধ, তথ্যসন্ত্রাসও তেমন অপরাধ: বায়তুল মোকাররমের খতিব বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতিতে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় শুরু

নেতাকর্মীদেরকে জনগণের মন জয় করতে বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সারাদেশের জনগণের মন জয় করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

তিনি বলেন, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে এখনই মানুষের দ্বারে দ্বারে নেমে পড়ুন। মানুষের মন জয় করুন। জনগণের সেবা করুন। দেশের যে কোনো কল্যাণে ঝাপিয়ে পড়ুন।

পীর সাহেব বলেন, হাতপাখা হলো শান্তির প্রতীক। শান্তির প্রতীক নিয়ে জনগণের কাছে আগামীর শান্তির বার্তা পৌঁছে দিন। আমরা একটি মডেল রাষ্ট্র কায়েম করতে চাই। যেখানে দুর্নীতি থাকবে না, চাঁদাবাজি, খুন, গুম থাকবে না। মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে।

খেলাফত ও ইসলামী রাজনীতি দৃষ্টিকোণ

আজ (৫ অক্টোবর) বাদ জুমা সোহরাওয়ার্দীতে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, স্বাধীনতার পর মানুষ ভেবেছিল তারা শান্তিতে বসবাস করবে, দেশ স্বস্তিতে থাকবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো এ পর্যন্ত যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই দুর্নীতিতে আপাদমস্তক ডুবে গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ইসলামকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেকেই বলে ইসলাম ক্ষমতায় গেলে মানুষ শান্তি পাবে না। নারীরা ঘরের বাইরে বেরুতে পারবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, এ ধারণা ভুল। ইসলাম বিজয় হলে নারীরা বেশি সম্মানিত হবে। সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত হবে। সবার অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হবে। যে যেখানে আছে সে অবস্থায় বহাল থাকবে। কেবল দুর্নীতি থাকবে না।

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, বিগত ১০ বছরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও অঢেল দুর্নীতি হয়েছে। নির্বাচনকে এখন মানুষ তামাশা মনে করে। আগামীতে বাংলার জনগণ আর তামাশার নির্বাচন চায় না।

ক্ষমতাসীনরা জাতীয় সংসদ বহাল রেখেই নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা হলো দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। বর্তমান সংসদে ১৫৪ জন বিনাভোটে জয়ী সদস্য রয়েছে। এসব অবৈধ সাংসদ বহাল থাকা অবস্থায় নির্বাচন হতে পারে না।

সভাপতির বক্তব্য শেষে আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে গণমানুষই ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু আজকের আওয়ামী লীগ সেই ভোটের অধিকার রক্ষা করতে পারেনি। এ কারণে তাদেরকে আগামীতে জন মানুষ মিলে মিশে উৎখাত করবে।

কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন

তিনি বলেন, বর্তমান সিইসি একজন রোবট, তাকে যা শিখিয়ে দেয়া হয় তাই করে। এই রোবটকে মানুষ আর দেখতে চায় না। জনগণ নিরপেক্ষ নির্দলীয় ইসি চায়।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ভারত আমাদের কাছে যা চাচ্ছে সবই দিয়ে দেয়া হচ্ছে। দেশকে ভারতের কাছে তারা বিক্রি করতে চায়। কিন্তু আমরা বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের ইসলামী তাহজিব তামাদ্দুনকে বিক্রি হতে দেবো না।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী বলেন, আমরা আজ প্রমাণ করতে চাই, সব মার্কা দেখা শেষ হাতপাখার বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আর দেরি নয়, আমাদের শ্রম ও ঘাম দিয়ে ইসলামকে বিজয়ী করতে আমীরের নির্দেশে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।

এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী ও মাওলানা নেছার উদ্দীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ এটিএম হেমায়েদ উদ্দীন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা আবদুল কাদের, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাদ জুমা পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৫ টায়। সমাবেশ শেষে সংক্ষিপ্ত মুনাজাত করেন মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম।

সমাবেশ উপলক্ষ্যে দুপুরেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে শাহবাগ, দোয়েল চত্বর ও প্রেসক্লাবেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় বহু কর্মীকে।

সমাবেশে সুষ্ঠু নির্বচনের দাবিতে বেশ কিছু দাবি দাওয়া পেশ করেন পীর সাহেব চরমোনাই। দাবি না মানলে আগামী দিনে বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করা হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-

আগামী ১২ অক্টোবর শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল। ১৪ অক্টোবর প্রতিটি জেলায় বিক্ষোভ ও জেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি পেশ। ১৬ অক্টোবর মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ।

‘ফের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হলে আমরা জীবন দিয়ে প্রতিহত করবো’
‘আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে জোট করেছি, তাদের সঙ্গে থাকতেই শান্তি পাই’

-আরআর

https://www.facebook.com/iscabd91/videos/479858575827819/?__tn__=%2CdkC-R&eid=ARDToSYcjbda-4docqq7XGrcLruxdSMAd5N7APp1WLL8VeSwnB4yWmA9mZvW-r9Ug5hKzePFYH2jan7C&hc_ref=ARSUwNLBV3Z-z4qIZbG9BPVHcJV1s7VSXX0sfIaTFqHf6r691wzDja39ujQ7gq843zE


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ