রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
ইরানকে মোকাবেলার জন্য ন্যাটোর মতো একটি আঞ্চলিক জোট গঠনের লক্ষ্য নিয়ে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।গত শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তুরস্ক মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের পথে
বৈঠকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, ওমান, মিশর এবং জর্দানের মন্ত্রীরা অংশ নেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া সব দেশ ইরান-বিরোধী জোট গঠন ও হুমকি মোকাবেলায় তেহরানের বিরুদ্ধে লড়াই করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করতে ‘মিডল ইস্ট স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স’ বা ‘মধ্যপ্রাচ্য কৌশলগত জোট’ গঠনের বিষয়ে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন বলেও জানায় মার্কিন দপ্তর।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘আরব-ন্যাটো’ জোট গঠনের প্রাথমিক পর্বে ‘মিডল ইস্ট স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স’ বা ‘মধ্যপ্রাচ্য কৌশলগত জোট’ গঠনের বিষয়ে আগামী ১২ ও ১৩ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বৈঠক ডেকেছেন।
কিছুদিন আগে ন্যাশনাল ম্যাগাজিনে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “পারস্য উপসাগর বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিম লিন্ডারকিং গত তিন সপ্তাহে ‘আরব-ন্যাটো’ জোট গঠনের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছেন।”
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
আমেরিকার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে এ অঞ্চলের আরব দেশগুলোর নিরাপত্তাকে আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল করে তোলা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, সৌদিসহ অন্য আরব দেশকে যদি আমরা নিরাপত্তা দিই তাহলে এর জন্য তাদেরকে অবশ্যই মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
তিনি গত এপ্রিলে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ আছে যারা আমেরিকার সাহায্য সমর্থন ছাড়া এক সপ্তাহও টিকবে না। তিনি আরও বলেন আমরা গত ১৮ বছরে মধ্যপ্রাচ্যে সাত ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছি। সুতরাং এ অঞ্চলের সম্পদশালী দেশগুলোকেও অবশ্যই এ ব্যয়ভার বহন করতে হবে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার এসব কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের উদ্দেশ্য যতটানা ইরান বিরোধী জোট গঠন করা তার চেয়ে বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে আরব দেশগুলোকে আমেরিকার ফাঁদে ফেলা যাতে এসব দেশের অর্থ সম্পদ লুট করে নেয়া যায়।
খ্যাতনামা আরব লেখক ও বিশ্লেষক আব্দুল বারি আতাওয়ান এ ব্যাপারে বলেছেন, আরব দেশগুলোকে নিয়ে আমেরিকার জোট গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইরানকে অনেক বড় হুমকি হিসেবে তুলে ধরা যাতে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সুন্নি আরব দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
এছাড়া আমেরিকার নিজের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেয়ার জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন তা আরব দেশগুলোর কাছ থেকে আদায় করে নেওয়া আমেরিকার অন্যতম উদ্দেশ্য।
সৌদিআরবসহ অন্যান্য আরব দেশগুলোর সমর্থন নিয়ে মার্কিন সরকার ইরানের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। এর মাধ্যমে তারা একদিকে আরব দেশগুলোর তেল বেচা ডলার হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে অন্যদিকে, নিরাপত্তার কথা বলে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অবস্থান জোরদার করার চেষ্টা করছে।
এ অবস্থায় আমেরিকার এসব তৎপরতা কখনোই এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য শুভ পরিণতি ডেকে আনবে না বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সূত্র: খালিজ টাইমস, আল-আরাবিয়া।
চালু হয়েছে কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
আরও পড়ুন: যে ৪ গুণ থাকলে নারীর জান্নাত সুনিশ্চিত
আরএম/