আওয়ার ইসলাম: গ্রামীণফোন থেকে সবচেয়ে বেশি গ্রাহণ অন্য অপারেটরে যাওয়ার জন্য আবেদন করছেন বলে জানা গেছ।
১ অক্টোবর সিম নম্বর ঠিক রেখে কোম্পানি পরিবর্তনের প্রথম দিনের হিসাবে এমনটিই দেখা গেছে।
জানা গেছে, গ্রামীণফোন ছেড়ে অন্য অপারেটরে যেতে আবেদন করেছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। আর সবচেয়ে কম গ্রাহক টেলিটক ছেড়ে অন্য অপারেটরে যেতে আবেদন করেছেন।
মোবাইল ফোন অপারেটিং অ্যান্ড সার্ভিসিং
গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যারা ছেড়ে যাওয়ার আবেদন করছেন তাদের নানা কৌশলে আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। পোর্টিং করা হচ্ছে না।
রবি জানায়, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্য অপারেটরের ৯৭৬ জন রবিতে পরিবর্তনের জন্য আসে। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের নম্বর ছিল ৮০ শতাংশ। কিন্তু গ্রামীণফোনের নম্বরের ক্ষেত্রে মাত্র আড়াই শতাংশ সফলভাবে রবি নেটওয়ার্কে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাকী সাড়ে ৯৭ শতাংশ গ্রামীণফোন স্থগিত রেখেছে।
বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ বলেছে, সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৫০০ জনেরও বেশি গ্রাহক অন্য অপারেটর থেকে আমাদের নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অধিকাংশকেই অনুমতি দিচ্ছেনা গ্রামীণফোন।
জানা যায়, প্রথম দিনে দেড় হাজারের বেশি মানুষ অপারেটর পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। তবে সফলভাবে পোর্টিং সম্পন্ন হয়েছে দুই শতাধিকের বেশি গ্রাহকের।
গতকাল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ সেবা শুরুর ঘোষণা দেন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক। তিনি বলেন, সেবা চালুর প্রথম দিন বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১৭ জন তাদের অপারেটর পরিবর্তন করেছেন। আবেদন করেছেন শতাধিক গ্রাহক।
এ সেবা নিতে গ্রাহককে ৫০ টাকা চার্জের সঙ্গে সিম রিপ্লেসমেন্ট ট্যাক্স এবং ভ্যাটসহ মোট ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হচ্ছে। তবে এই চার্জ একেক অপারেটর একেকভাবে নিচ্ছে। গ্রামীণফোন ১৫৫ টাকা নিলেও রবি নিচ্ছে ১৪৯ টাকা। আর বাংলালিংক নিচ্ছে ১০০ টাকা।
সিমের নম্বর ঠিক রেখে কম্পানি পরিবর্তন করবেন যেভাবে
-আরআর