শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


কওমি স্বীকৃতির ১০ পুরুষ : যাদের ঘামে সিক্ত এ অধ্যায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব
আওয়ার ইসলাম

কওমি মাদরাসায় এমন অসংখ্য আলেম আছেন যারা নিজেদের শিক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রতিভা, সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কাগজপত্রে তারা নিরক্ষর। আর এ অবস্থায় দেড়শ’ বছর অতিবাহিত হয়েছে এ শিক্ষাব্যবস্থার।

অবশেষে প্রভুর কৃপায় নিজের স্বকীয়তার প্রশ্নে অটল থেকে আমরা আমাদের শিক্ষাসনদের সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছি। যা ছিল অনেকটাই অকল্পনীয়। তবে অকল্পনীয় বিষয়টি বাস্তবের রূপ দিতে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।

অনেক রজনী পেয়েছে বিষাদের আঁচড়। অনেকের রক্ত পানি হয়ে পতিত হয়েছে এ বৃক্ষের গোড়ায়। আর এভাবেই এ দাবি সজিব ছিল যুগের পর যুগ।

যে মানুষগুলো এ দাবি আদায়ের জন্য রাতকে দিন করে, সুখকে বিষাদে পরিণত করে, তিলে তিলে নিজেদের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে আমাদের হাতে আজকের এ সফলতা উপহার দিয়েছেন। তাদের অনেকেই আজ এ ভুবনে নেই। চলে গেছেন বহুদূর।

যেখান থেকে কেউ কখনো ফিরে আসে না। আজ সেই প্রিয়মানুষদের থেকে দশ জনের কিছু স্মৃতি ছুঁয়ে আসবো।

Image may contain: 2 people, people smiling, people standing

তিনি ছিলেন বেফাক ও স্বীকৃতির স্বপ্নদ্রষ্টা

‘কওমি সনদের স্বীকৃতি। কওমি মাদরাসার ভেতরে নিজেদের মতো করে সংস্কার।’ এ কথাগুলোর প্রধান প্রবক্তা ছিলেন মুজাহিদে মিল্লাত মাওলানা আতহার আলী রহ.।

এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছিলেন বেফাকেরও স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি যখন ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের অংশ ছিলেন, তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন চৌধুরী মুহাম্মদ আলী এবং স্পিকার ছিলেন আব্দুল ওহাব খান। যিনি রাশেদ খান মেননের বাবা।

তিনি স্বীকৃতির বিল আনার জন্য মুফতিয়ে আজম মুফতি শফি রহ.কে চিঠি লিখেছিলেন। যা এখনো সংরক্ষিত আছে। পরবর্তীতে স্বীকৃতি বিষয়ে যতো আওয়াজ, আন্দোলন, চাওয়া আর দাবি উঠেছে সবই তার স্বপ্ন লালন করে আঁকা।

champion desktop

CHAMPION প্রমোকোড ব্যবহার করে বই অর্ডার করলেই আজ ও কাল রকমারিতে পাচ্ছেন অতিরিক্ত ৫% ছাড়

স্বীকৃতির সজিবতা ছিল তার মননে

দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ইসলামের খেদমত করে দেশে ফিরেন তিনি। এরপর ১৯৯০ এর দিকে ‘রাবেতা আল আলম আল ইসলামী’র বাংলাদেশ শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। বলছিলাম আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী রহ. এর কথা।

তার গুণ-জ্ঞান, কর্মদক্ষতা, দীনদরদ, মুসলিম জাগরণের আন্তরিক অনুভূতি ও কালজয়ী যোগ্যতা মুগ্ধ করেছিল প্রায় সবাইকে। সবকিছুর সঙ্গে স্বীকৃতির দাবিটা তিনি লালন করতেন মনেপ্রাণে।

মাওলানা আতহার আলী রহ. এর পরে তিনি এবং মরহুম নুরুদ্দিন গওহরপুরী হাল ধরেছিলেন স্বীকৃতির দাবির। বিভিন্ন কারণে সত্তরের দশকে ঢাকা ছেড়ে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন নিজ জন্মভূমি চট্টগ্রামে।

কিন্তু সেখানে থেকেও তিনি জাতীয় ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রে সজাগ দৃষ্টি রাখতেন। সজিব রাখতেন স্বীকৃতির অধ্যায়গুলো।

স্বীকৃতির স্বপ্নটা রঙ্গিন করেছিলেন তিনি 

বেফাক গঠনের পর কওমি সনদকে স্বীকৃতির ছোঁয়া দিতে যারা নিরলস কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে আল্লামা নুরুদ্দিন গহরপুরী রহ. ছিলেন অন্যতম। স্বীকৃতির দাবিকে তিনি নিজ প্রাণের দাবি মনে করে, এটি পূরণের জন্য গিয়েছেন সম্ভাব্য সবার কাছে।

এরপর তিনি যখন ১৯৯৬ সালে দেশের সর্ববৃহৎ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসীল আরাবিয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, তখন তার এ চেষ্টায় আরো জোর আসে এবং তিনি মৃত্যু পর্যন্ত এ দাবি আদায়ে কাজ করেছেন।

স্বীকৃতির দাবি ছিল তার জীবন অধ্যায় জুড়ে

সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে বাংলাদেশে যারা রাজনীতি করে গিয়েছেন। মাওলানা আতাউর রহমান খান তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের বিকাশকালীন মহাসচিব।

কিন্তু তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেফাকের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মহাসচিব পদ ছেড়ে দেন। বেফাককে তিনি কখনো রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করেননি।

সরকার কিংবা বিরোধীদল যে অবস্থায়ই তিনি ছিলেন সবসময় ফিকির করেছেন কওমি সনদের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য।

খতিব ওবায়দুল হক, শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক প্রমুখসহ তিনি তৎকালীন স্পিকারের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন এ বিষয়ে অগ্রগতির জন্য। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বারবার।

শেষ পর্যন্ত তার অফিসিয়ালি তদবিরেই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. উসমান ফারুকের মাধ্যমে বিএনপি সরকারের শেষ সময়ে গ্যাজেট জারি হয়। তবে এটি বিভিন্ন কারণে পরবর্তীতে বাস্তবরূপ নিতে পারেনি।

এরপর তিনি যখন বেফাকের আমৃত্যু সহসভাপতি ছিলেন, সে পুরো সময়টাতেই এ সংক্রান্ত অন্যান্য আন্দোলন সংগ্রামের সঙ্গে প্রাণপণে জড়িত ছিলেন।

যার অনশনে স্বীকৃতিতে আনে নতুন ঢেউ

আবদুর রহমান বিশ্বাস যখন প্রেসিডেন্ট তখন থেকেই যে মানুষটি কওমি সনদের স্বীকৃতির জন্য নিজের রক্ত পানি করছিলেন তিনি উপমহাদেশের অহংকার শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক।

পরবর্তীতে ২০০৫ ও ৬ সালে তার এ অভিপ্রায়ে তিনি যোগ করেন এক নতুন মাত্রা।

২০০৫ সালের ১৫ এপ্রিল পল্টনে ‘কওমি মাদরাসা জাতীয় ছাত্র কনভেশন’ আয়োজন করেন শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক। ওই ছাত্র কনভেনশনে তিনি বলেন, চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পেছনে আমার যদি কোনো অবদান থেকে থাকে, তাহলে আমি এটাকে সামনে এনে হলেও কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদের সরকারি স্বীকৃতি দাবি করছি।

এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

পরবর্তীতে তিনি ২০০৬সালে ১৬ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকার মুক্তাঙ্গনে হাজার হাজার ছাত্র জনতা, ওলামাকে নিয়ে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাগাতার ৫দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

অনশনের ৫ম দিনে অবস্থা বেগতিক দেখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তড়িঘড়ি করে তার কার্যালয়ে ওলামা সম্মেলন ডেকে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণা দিবেন বলে আশ্বাস দিলে শায়খুল হাদীস রহ. অবস্থান কর্মসূচী স্থগিত করেন।

শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের এ আন্দোলনের মাধ্যমেই মূলত স্বীকৃতির দাবিটা মাঠময়দান হয়ে সারাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

Image may contain: 1 person, crowd

আজো শুনি তার কণ্ঠধ্বনি

শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের আন্দোলনের মাধ্যমে স্বীকৃতির দাবিটা যখন মানুষের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়। তখন এ দাবিকে বাস্তবের রূপ দিতে যারা সরকারের সচিব, মন্ত্রীসহ বিভিন্ন মহলে বারবার কড়া নেড়েছেন, ক্ষয় করেছেন নিজেদের জুতোর তলা। তাদের মধ্যে যে নামটি ভিন্নভাবে দ্যুতি ছড়ায় তা মুফতি ফজলুল হক আমিনী।

কওমি মাদরাসার শিক্ষাসনদের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তার কর্মকাণ্ড যতটা ছিল মাঠ পর্যায়ে, তার চেয়ে অনেকবেশি ছিল সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টেবিলে। এর পাশাপাশি ছাত্রদের জন্য তার অনুপ্রেরণা দায়ক পথনির্দেশনাও ছিল অকৃত্রিম।

স্বকীয়তা রক্ষার প্রশ্নে যিনি ছিলেন আপোষহীন

স্বীকৃতির নামে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বিলিন প্রশ্নে যিনি ছিলেন আপোষহীন। তিনি ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রহ.। স্বীকৃতি বিষয়ে তার মৌন সমর্থনের কথা অনেক প্রেক্ষাপট থেকেই আন্দাজ করা যায়।

কিন্তু তিনি বাহ্যিকভাবে এর খুব বিরোধিতা করতেন। কেননা তার একটি আশঙ্কা ছিল, ‘এটি আমাদেরকে কাঙ্ক্ষিত পথ থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে।’

বলা যায়, তার তাগিদ এবং সচেতন দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলনে যুক্ত হয় কওমির বৈশিষ্ট্য রক্ষার অধ্যায়। সচেতনভাবে ওলামায়ে কেরামের চিন্তা চেতনায় প্রবেশ করে একটি কথা, ‘আমাদের শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতি চাই, তবে নিজ অবস্থান থেকে একটুও টলে নয়। আমরা স্বীকৃতি চাই আল্লাহর দিনকে বিজয়ী করার জন্য। লৌকিকতায় নিজেদের ভাসানোর জন্য নয়।’

Image may contain: one or more people

তিনিও এসে হাল ধরলেন আন্দোলনের

সময় ২০০৬। শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক কওমি মাদরাসা শিক্ষাসনদের সরকারি স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে হাজার হাজার ছাত্র, ওলামা নিয়ে মুক্তাঙ্গনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

দীর্ঘ বয়সের ক্লান্তির ছাপ যেনো কোথায় হারিয়ে গেছে। জোর গলায় প্রাণের দাবি তুলে ধরছেন সরকারের কাছে। ঠিক সে সময় প্রিয় উস্তাদের এ কর্মসূচিতে ছুটে আসেন লাখো মানুষের আধ্যাত্মিক গুরু মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ.।

শায়েখের হাতে হাত রেখে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে কওমি সনদের স্বীকৃতির দাবি তোলেন তিনিও। সেখান থেকে স্বীকৃতি আন্দোলন আরও জোরদার হয়ে ওঠে।

Image may contain: 6 people, people standing, crowd and outdoor

স্বীকৃতির ক্ষেত্রে যার ছিল বুদ্ধিদীপ্ত অবদান

স্বীকৃতি আদায়ের প্রায় প্রত্যেকটি পদক্ষেপেই যিনি বুদ্ধিদীপ্ত সঙ্গ দিয়েছিলেন, তিনি হলেন মাসিক মদিনার সম্পাদক, সিরাত গবেষক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ.। স্বীকৃতি বিষয়ে তার আন্তরিকতা হৃদয় ছুঁয়েছিল সবার।

তিনি জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন। তিনি মূলত ছিলেন আলিয়া মাদরাসার শিক্ষিত। কিন্তু কওমি ঘরণার আলেমদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল অঙ্গাঙ্গীভাবে।

কেমন যেনো তার সব কর্মকাণ্ডই ছিল কওমি মাদরাসা ঘেরা। সে টান থেকেই স্বীকৃতির দাবীটা ছিল তার প্রাণের দাবি।

স্বীকৃতির সঙ্গে চিরসবুজ হয়ে মিলে থাকবে যে নাম

সবশেষে এমন একজন অতিমানবের স্মৃতির পাতা ছুঁয়ে আসবো, যার অস্তিত্বের বিগলিত রূপ আজকের স্বীকৃতি। স্বীকৃতি আদায়ে যে সংগঠনটি মূল ভূমিকা রেখেছে, তার নাম বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।

আর এ বেফাককে যিনি বটবৃক্ষের রূপ দিয়েছেন, তিনি স্বীকৃতির প্রাণপুরুষ মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী রহ.।

তার সময়ে সরকারি স্বীকৃতি প্রশ্নে ওলামায়ে কেরামের বিরাট একটি অংশ স্পর্শকাতরভাবে নেতিবাচক হলেও তিনি ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নানা প্রকারের বাধাবিপত্তি থাকা সত্বেও এক্ষেত্রে তিনি একটুও থেমে থাকেননি।

Image may contain: 4 people, people standing and beard

পরিবেশ ও জনমত গঠনে মৃত্যুর পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত তিনি নিরবচ্ছিন্ন কাজ করেছেন। তার একান্ত প্রচেষ্টায় প্রতিবছরই নতুন নতুন মাদরাসা বেফাকে নিবন্ধিত হয়েছে।

পাশাপাশি কওমি সনদকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেতে হলে এতে থাকতে হবে যুগোপযোগী কিছু বিষয়। এ চিন্তা থেকে তিনি মূল সিলেবাসের সঙ্গে যোগ করেছিলেন বাংলা, ইংরেজি, অংক, ইতিহাস ও ভূগোল।

এমনকি এসব জাগতিকজ্ঞান যেনো কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা ও সৌন্দর্য নষ্ট করতে না পারে সেজন্য তিনি অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ দ্বারা অনেক পুস্তকও রচনা করিয়েছিলেন। এভাবেই স্বপ্নচারী এ মানুষটি স্বীকৃতির জন্য নিজের রক্ত, মাংস, ঘামকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন।

আজ সংসদে পাশ হওয়া বিলের প্রতিটি পৃষ্ঠায় তার ঘামের গন্ধ আছে, আছে তার প্রাণের উচ্ছ্বাস। আজ যদি তিনি বেঁচে থাকতেন স্বীকৃতির কপিটি বুকে জড়িয়ে আনন্দে কতটা অশ্রু ফেলতেন তা একমাত্র স্রষ্টাই জানেন।

বড়দের রক্ত ঘামে ভেজা যে স্বীকৃতি আজ আমরা হাতে পেলাম, তার ইতিবাচক ব্যবহারই কাম্য।

তাই কেউ যেনো একে অপব্যবহার না করে, ছাত্ররা যেনো এ নেয়ামতের অকৃতজ্ঞতা না করে, প্রাধান্য যেনো না দেয় দুনিয়াকে দীন থেকে, সে বিষয়ে মুরব্বিদের আধ্যাত্মিক প্রহরা থাকতে হবে।

অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে আমাদের সভ্যতা, ভদ্রতা, তাহযিব, তমদ্দুন। কেননা আমাদের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর দীনকে বিজয়ী করা।

আরও পড়ুন: আগামী সংসদে দেখা যেতে পারে ডজনখানেক আলেম সাংসদ

স্বীকৃতি যেনো আমাদের উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরিয়ে না দেয়

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ