আবদুল্লাহ তামিম: দীর্ঘ দিন ধরে চলা পশুবলি প্রথার বিরুদ্ধে এবার সরকারি নির্দেশ জারি করেছে শ্রীলঙ্কা।
দেশটির হিন্দু রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার গত বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশটির মন্দিরগুলিতে এ পশুবলি বন্ধের বিষয়ে এক নির্দেশিকা জারি করেন।
বিবিসির বরাতে জানা যায়, দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে এই পশুবলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে আসছিলেন সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ও আধুনিক মনস্ক হিন্দুরা। এবার শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে তাদের দীর্ঘদিনের এ বিরোধিতা।
সংবাদে আরও বলা হয়, ভারতের মতো শ্রীলঙ্কার বেশীরভাগ হিন্দু মন্দিরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এ পশুবলির প্রথা।
মূলত এ কারণে বরাবরই দেশটির হিন্দু মন্দিরগুলিতে এই পশুবলির বিরোধিতা করে আসছিলেন সেখানকার বৌদ্ধরা।
এদিকে একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে দেশটির আধুনিক মনস্ক হিন্দুরাও মনে করেন এই পশুবলি এক ধরণের মহাপাপ। ফলে বৌদ্ধদের মতো তারাও এই প্রথার অনেকটা বিরোধী।
বিবিসি আরও বলছে, শ্রীলঙ্কার মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ ভাগই হিন্দু। এখনও সেখানকার অনেক হিন্দু মন্দিরে নির্বিচারে গরু বা পাঁঠার মতো নিরীহ প্রাণীদের বলির হাড়িকাঠে চড়ান হয়।
বাদ যায় না ছোট ছোট বিভিন্ন পাখিরাও। দীর্ঘদিন ধরে যার বিরোধিতা করে আসছেন স্থানীয় পশুপ্রেমীরা। তাদের মতে, ‘এসবের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশাপাশি, দেশের পশুরক্ষা আইন লঙ্ঘন হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, এসব পশুবলি রোধে ইতিমধ্যে দেশটিতে আইন তৈরির প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার আইন বিভাগ।
সূত্র: বিবিসি
সম্পূর্ণ ফিতে নিন অ্যাকাউন্টিং ও ইনভেস্টরি সফটওয়ার
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
এটি/আওয়ার ইসলাম