আওয়ার ইসলাম: পশ্চিম তীরে 'খান আল আহমার' গ্রামে ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। গ্রামটির ধ্বংস ঠেকাতে ১৩ দিন ধরে সেখানে অবস্থান নিয়েছে বহু মানবাধিকারকর্মী।
দখলদার ইসরায়েলের উচ্চ আদালত গ্রামটি নিশ্চিহ্ন করে সেখানে ইহুদিবাদীদের জন্য উপশহর নির্মাণের নির্দেশ জারি করেছে দেশটির এক আদালত। গ্রামটি ধ্বংসের নির্দেশের নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
খান আল আহমার গ্রাম বাঁচানোর আন্দোলনের সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আবু রাহমাহ আজ সোমবার বলেছেন, গ্রামটি বাঁচাতে শত শত বিদেশি সেখানে প্রবেশ করেছে। অবস্থান কর্মসূচিতে বর্তমানে দেড় হাজার বিদেশি অংশ নিচ্ছে। এছাড়া রয়েছে ফিলিস্তিনিরা।
এর আগে আন্দোলনকারীদের নির্মিত বিভিন্ন ছাউনি ভেঙে ফেলেছে ইসরায়েল। গত বৃহস্পতিবার সূর্য ওঠার আগেই ইসরায়েলি বাহিনী গ্রামটিতে প্রবেশ করে ছাউনিগুলো ভেঙে ফেলতে শুরু করে।
খান আল আহমারে যাওয়ার সব রাস্তা ইহুদিবাদীরা বন্ধ করে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই গ্রামে এখন যারা বাস করছেন তারা যাযাবর শ্রেণির।
১৯৫৩ সালে এই বাসিন্দাদের তাদের নিজ ভূমি নাকাব মরুভূমি থেকে বিতাড়িত করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। খান আল আহমারে বসতি গড়ার আগে তাদের অন্তত দুইবার নিজেদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
গ্রামটি ধ্বংস করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীর দুইভাগে ভাগ করে ফেলতে সক্ষম হবে বর্ণবাদী ইসরায়েল।
মাদরাসা ম্যাানেজমেন্ট সফটওয়্যারে যুক্ত হলো নিজস্ব মিনি কম্পিউটার
আরএম/