আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা যত বেশি উন্নত হবে তত বেশি মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হবে।
মানুষ আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে। মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সারাদেশে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি করছি।
রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ৮৫০ মিটার দীর্ঘ ‘গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলায় তিতাস নদীর ওপর নির্মিত ৭৭১ মিটার দীর্ঘ ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যকাণ্ডের পর যারা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিল তারা ধনশালী হয় সম্পদশালী হয়।
আর সেই সঙ্গে তাদের আশেপাশের কিছু লোক অর্থশালী হয়ে একটা এলিট শ্রেণি তৈরি হয় কিন্তু বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পড়ে থাকা আপামর জনগোষ্ঠী তারা কিন্তু কষ্ট ভোগ করতে থাকে।
এরপর ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরে আসার লক্ষ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তখন থেকে আমি সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরতাম।
১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশের এমন কোনো অঞ্চল নেই, আমি না গিয়েছি। প্রতিটি এলাকা যেতাম, ঘুরতাম এবং মানুষের অবস্থাটা জানতাম।
এই বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কীভাবে গড়ে তুলবেন তিনি সেই কথা সবসময় আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতেন।
সেই হিসেবে একটা চিন্তা ছিল, যদি কখনো সরকারে যেতে পারি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করব এবং দেশের উন্নয়নটা ত্বরান্বিত করব।
২১ বছর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারে আসার পর থেকেই চেষ্টা করেছি এদেশের মানুষের আর্থসামজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করতে।’
উত্তরবঙ্গে একসময়কার দুর্ভিক্ষ ও হাহাকারের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে যখন সরকারে আসি, বাংলাদেশ প্রথম খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।
ওই আমলে আর দুর্ভিক্ষ ছিল না। মঙ্গা শব্দটা উত্তরবঙ্গের লোক ভুলেই গিয়েছিল। কিন্তু ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসতে পারে নাই বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে, আবার মঙ্গা ফিরে আসে।
তালিবুল ইলমদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আল্লামা আহমদ শফী
এটি/আওয়ার ইসলাম
ব্যবসা এখন আপনার হাতের মুঠোয়। – বিস্তারিত জানুন