আওয়ার ইসলাম: যৌতুক গ্রহণকারীকে কিংবা যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলা করলে ৫ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকার জরিমানা দিতে হবে মামলাকারীকে। এক্ষেত্রে এতোদিন জেল-জরিমানার বিধান ছিল না।
রোববার জাতীয় সংসদে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ নামের বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এছাড়া যৌতুক প্রদান, গ্রহণ বা যৌতুকে সহায়তা বা চুক্তি করলেও একই সাজা হবে। এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮’ পাস হয়েছে।
সংসদে পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কাউকে ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে ৫ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
যদি বিয়ের কোনো এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে, তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর, কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে আরো বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে এসংক্রান্ত মামলা আপসযোগ্য হবে।
এর আগে বিলটির ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। গত ২৫ জুন জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ওই বিলটি উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নে বিলটি তোলা হয়। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়।
সম্পূর্ণ ফিতে নিন অ্যাকাউন্টিং ও ইনভেস্টরি সফটওয়ার
দারুল উলুম দেওবন্দে আমার স্মৃতিময় দিনগুলো
আরএম/