আওয়ার ইসলাম: ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে বেদুইনদের গ্রাম খান আল আহমার ঘিরে ফেলে চারদিক থেকে বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গ্রামে ঢোকার সব রাস্তা। গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঢুকে আটক করা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের।
গ্রামটিতে ৪০ পরিবারে অন্তত ১৮০ জন লোক বাস করে আসছে। এখন তাদের বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। সেখানে অবৈধ বসতি গড়তে চায় ইসরাইল। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট সেনাবাহিনীকে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয়ার পর শুক্রবার থেকে গ্রাম অবরোধ করে রাখা হয়েছে। শনিবার এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর ও আলজাজিরা।
এদিকে তারকাঁটা ঘেরা গাজা উপত্যকায় তিন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে ১১ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে। ইসরাইলি দখলদারীর বিরুদ্ধে শুক্রবার নিয়মিত সাপ্তাহিক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৪৮ জন।
‘অনুমতি ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে’ দাবি করে গত সপ্তাহে গ্রামটি খালি করে ফেলার নির্দেশ দেন ইসরাইলের সুপ্রিমকোর্ট। গ্রামটি নিশ্চিহ্ন করে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। গ্রামটি নিশ্চিহ্ন করা হলে পশ্চিম তীর দুই ভাগে ভাগ হয়ে পড়বে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা জানিয়ে আসছে।
গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, গ্রামের চারপাশজুড়ে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামের ঢোকার রাস্তাগুলোর মুখে বসানো হয়েছে সামরিক বুলডোজার। ওই এলাকায় সাংবাদিক, বিক্ষোভকারী ও এমনকি অধিকার কর্মীদের প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে। বাধা সত্ত্বেও বেশ কয়েকজন সেনা অবরোধ ও রাস্তা খুলে ফেলার চেষ্টা চালায়।
তাদেরকে জোর করে সরিয়ে দেয় সেনারা। মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, বুলডোজার দিয়ে গ্রামের প্রবেশ পথ বন্ধ করে রেখে দিয়ে সেনারা গ্রামটি ধ্বংস শুরু করেছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর বল প্রয়োগ করায় গ্রামটির অনেক বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সেখান থেকে তিন ফিলিস্তিনি ও এক বিদেশি অধিকারকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন ফিলিস্তিনি নাগরিক ইব্রাহিম হুসেইন আবু দাহুক, সুলাইমান ইদ হাতালিন, ওমন আবদুল্লাহ ও ফরাসি নাগরিক ফ্রাঙ্ক রোমানো।
ব্যবসা এখন আপনার হাতের মুঠোয়। – বিস্তারিত জানুন
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কের বিকৃতির আযাব সবচেয়ে বড় আযাব: আল্লামা মাহমুদুল হাসান
আরএম/