আবদুল্লাহ তামিম: ইসরাইলের অব্যাহত অবরোধ ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়ার কারণে গাজায় হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের রাফা এলাকায় অবস্থিত ‘আবু ইউসুফ আল-নাজর হাসপাতাল’ জ্বালানি তেলের অভাবে ৯ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জ্বালানি তেল দিয়ে হাসপাতালটির জেনারেটর চালিয়ে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়। বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেলে এ অঞ্চলের ২ লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দা অমানবিক পরিস্থিতির শিকার হবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনি চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এছাড়া কিডনির মতো জটিল রোগের চিকিৎসা নেয়ার জন্যেও অনেক ব্যক্তি হাসপাতালটিতে নিয়মিত আসেন।’
উল্লেখ্য, অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করেন। এখানে সরকার পরিচালিত ১৩টি হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে ৫৪টি।
সমুদ্রতীরবর্তী গাজায় গত ১১ বছর ধরে ইসরাইলের অবরোধ চলছে। এছাড়া বিদেশী সাহায্যের মধ্যে বড় অঙ্কের অর্থ সহযোগিতা আসতো আমেরিকার কাছ থেকে। কিন্তু আমেরিকা সম্প্রতি ফিলিস্তিনে সবরকম অর্থ সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
ব্যবসা এখন আপনার হাতের মুঠোয়। – বিস্তারিত জানুন