আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন পর্যন্ত দেশে ঋণখেলাপির সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮ জন। তাঁদের কাছে অনাদায়ি অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। আজ শনিবার সংসদে পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণখেলাপী এ টাকার পরিমাণ বাংলাদেশের সর্বশেষ প্রণীত বাজেটের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি। এসময় তিনি দেশের শীর্ষ ১০০ ঋণ খেলাপি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুকূলে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক সাহায্যের আশ্বাসের পরিমাণ ছিল ৩৬১.৩৫ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ৩৬০ মিলিয়ন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ১.৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, এই সময়ে বৈদেশিক সাহায্যের প্রাপ্তির (ডিসবার্সমেন্ট) পরিমাণ ছিল ১৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ১৮৫.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর অনুদানের পরিমাণ ২.৪২ মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ কঅর্থ বছরে সারাদেশে বেসরকারি ব্যাংক থেকে কৃষকদের মধ্যে ১১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত অর্থাৎ একমাসে সারাদেশে বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে ৭৮৩ কোটি টাকা টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুল মতিনের করা এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৯১ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা।
তালিকাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...
আরও পড়ুন : ‘যানজট নিরসনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে’
আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন
আরএম/