আওয়ার ইসলাম: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী বলেছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনটি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন একটি পাতানো নির্বাচন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় উক্ত বিতর্কিত নির্বাচনটি ছিল নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। সময়মত গ্রহণযোগ্য আরেকটি নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিও তিনি তখন দিয়েছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, তিনি তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন নি। ফলশ্রুতিতে পরিণতি যা হওয়ার তাই হয়েছে।
আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ দেশের কোন প্রতিষ্ঠানে আজ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ হেন অপকর্ম নেই যা বর্তমান সরকার করেনি। সর্বত্র দূর্নীতি আর দূর্নীতি। ব্যাংক লুট, রিজার্ভে থাকা স্বর্ণ লুট, কয়লা লুট, পাথর লুটসহ সব অপকর্মই হয়েছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।
ঐতিহ্যের সকল বই ৫০% পর্যন্ত ছাড়ে কিনুন
এক তরফাভাবে গায়ের জোরে “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা” সরকার বাতিল করে দিয়েছে। ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করার মানসিকতা আজ দেশের মধ্যে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। এই মানসিকতা পরিহার করা না হলে দেশে গৃহযুদ্ধ অবধারিত।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হয়ে পড়বে অনিরাপদ। তাই কোন প্রকার টালবাহানা না করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া জনমত প্রতিফলিত হয় না।
তাই প্রত্যেক ভোটার যেন নির্ভয়ে ও স্বাধীন ভাবে কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় সকল রাজনৈতিক দলকে সমান সুযোগ দিতে হবে। এ দাবীগুলো এখন আর কোন এক নির্দিষ্ট দলের দাবী নয়। এগুলো জাতীয় দাবীতে পরিণত হয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আল্লামা কাসেমী এসব কথা বলেন।
উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, যুগ্ম মহাসবিচ মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতী মুনীর হোছাইন কাসেমী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা জাকির হোছাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী নাসিরুদ্দীন খান, দফতর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফ্ফার ছয়ঘরি, যুব জমিয়ত বাংলাদেশের সভাপতি শরফুদ্দীন ইয়াহইয়া কাসেমী, মাওলানা বশীরুল হাসান খাদিমানী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা নূর মোহাম্মাদ ও মাওলানা ওমর আলী প্রমুখ।
আল্লামা কাসেমী তাঁর লিখিত বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবী জানিয়ে বলেন, নির্বাচনের দিনসহ নির্বাচনের আগে-পরে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী নিয়োগ করতে হবে।
তিনি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
তিনি বলেন এর জন্য প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনসহ যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেজা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন এবং তাঁর পছন্দমত হাসপাতালে তার সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন