আওয়ার ইসলাম: বর্তমান সরকার সন্ত্রাসী সরকারে পরিণত হয়েছে এবং তাদের দিন শেষ হয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলে এই দানব সরকাকে হঠানো হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের আগেই বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয়ার দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় ৮ মাস যাবত মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে আটক রাখা হয়েছে। তাকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। আমরা তার মুক্তি চাচ্ছি, এটা কোনো দয়া চাচ্ছি না।
এই সরকার গত ১০ বছর ধরে দেশকে ধ্বংস্তূপে পরিণত করেছে। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যা অর্জন করেছিলাম সব ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, কিছু গৃহপালিত লোক দিয়ে সংসদকে অকার্যকর করে রেখেছে। প্রশাসনকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে। সাংবাদিকরা আজ স্বাধীনভাবে লিখতে পারেন না।
তিনি বলেন, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, একটি নিরপেক্ষ সরকার তৈরি করতে হবে না হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সেলিমা রহমান, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু প্রমুখ।
মানববন্ধন থেকে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আটক
আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন
-আরআর