আওয়ার ইসলাম: ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুটি রেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে ভারত থেকে ভেড়ামারায় নবনির্মিত ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক স্টেশন সেকেন্ড ব্লকের উদ্বোধন করেন তারা।
সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এর ফলে আজ সোমবার থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ওই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হচ্ছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর গ্রিড থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আন্তঃবিদ্যুৎ সংযোগ গ্রিডে এ বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। নতুন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে ৩০০ মেগাওয়াট আসবে ভারতের সরকারি খাত ‘ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ থেকে। বাকি ২০০ মেগাওয়াট আসবে ভারতের বেসরকারি খাত ‘পাওয়ার ট্রেডিং করপোরেশন’ থেকে।
রেল প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেলপথ প্রকল্প ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলওয়ে সেকশনের পুনর্বাসন কাজের উদ্বোধন করেন দুই দেশের সরকার প্রধান।এর মাধ্যমে বাংলাদেশ অংশের নির্মাণ কাজ শুরু হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় বলেন,ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক বিশ্বের অন্যান্য অংশের জন্য রোল মডেল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারত থেকে বর্তমানে আমরা ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি, আমরা আরও ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি।
পশ্চিমবঙ্গের (বাংলা) মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রতিশ্রুত এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত বাংলাদেশকে দেয়ার ব্যাপারে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করবো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ব্যাপারে সম্মতি দিবেন।
দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াটের মাইলফলক স্পর্শ করেছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা ১৩ হাজার ৬৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উদপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আরও ৫৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি। আমাদের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য আরও অনেক বিদ্যুৎ প্রয়োজন।এজন্য ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আরও ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার উদ্যোগ নিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, রেলওয়ে খাতেও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বয় ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা শিগগির ভারতের অর্থায়নে যৌথভাবে ঢাকা ও টঙ্গীর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ এবং টঙ্গী ও জয়দেবপুরের মধ্যে ডুয়েল গেজের ট্র্যাক নির্মাণের ভিত্তিফলক স্থাপন করতে পারবো।
আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন
আরএম/