আওয়ার ইসলাম: সিরিয়ার ইদলিবে অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। শনিবার তুরস্কের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের একদিন পর রোববার সকালে আসাদ বাহিনীর নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত এক শিশুসহ ছয় ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
রোববার রাশিয়ার যুদ্ধবিমান থেকে ১৪ বার হামলা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি আসাদ বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে ২৫ ব্যারেল বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে।
এর আগে গত শুক্রবার ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যেকার ত্রিপক্ষীয় বৈঠক থেকে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় দেশগুলো। বৈঠকে তুরস্কের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া। এরপরই গতকাল শনিবার থেকে ইদলিব এবং প্বার্শবর্তী হামা প্রদেশে বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ এবং আর্টিলারি গোলাবর্ষণ শুরু করে সিরিয়া ও রাশিয়ার যৌথবাহিনী।
যৌথবাহিনীর এবারের হামলাকে আসাদবিরোধীদের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সময়ের সবথেকে বড় হামলা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও আগামী কয়েকদিনে হামলার তীব্রতা ও মাত্রা আরও বৃদ্ধি করা হবে মনে করা হচ্ছে। ইদলিবের দক্ষিণাংশ এবং হামার উত্তরাংশকে লক্ষ্য করে এবারের হামলা পরিচালিত হচ্ছে।
শনিবারের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ছয় জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। নিহতদের মধ্যে দুই জন হামার অধিবাসী। এছাড়াও এই হামলায় হামায় দুই শিশুসহ অন্তত পাঁচ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে জানা গেছে।
এদিকে যৌথবাহিনীর হামলার জবাবে সরকার নিয়ন্ত্রিত স্থানগুলোতে রকেট হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। তবে সে রকেট হামলায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার ইদলিবই এখন একমাত্র প্রদেশ যা বিদ্রোহীদের দখলে আছে। এই প্রদেশটির নিয়ন্ত্রণ নিতে তাই মরিয়া হয়ে আছে বাশারপন্থীরা।
উল্লেখ্য, ইদলিব হচ্ছে সিরিয়ায় আসাদবিরোধীদের সর্বশেষ ঘাঁটি। ২০১৫ সাল থেকে এই শহরের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বিদ্রোহীদের হাতে।
সূত্রঃ আল জাজিরা
বিসফটি কী? – বিস্তারিত জানুন
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
কাকরাইল মারকাজে নেজামুদ্দিন অনুসারীদের অবস্থান
আরএম/