শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মিয়ানমারের বিচারের পক্ষে রায় আইসিসির

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া এবং তাদের সঙ্গে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আছে।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রি-ট্রায়াল চেম্বার তাদের এ রায় দিয়েছে।

তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রি-ট্রায়াল চেম্বারের তিনজন বিচারকের মধ্যে দুইজন একমত পোষণ করলেও একজন ভিন্নমত পোষণ করেছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করতে বিভিন্ন সময় দমন-পীড়ন চালায় মিয়ানমার। আশির দশক থেকে সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশের দিকে ছুটে এসেছে রোহিঙ্গারা।

তবে গত বছরের আগস্টে সেনা অভিযানে হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতনের মুখে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটে বাংলাদেশে।

কয়েক মাসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে বিভিন্ন সময় আসা আরও প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে বাংলাদেশে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘসহ গোটা বিশ্ব উদ্বেগ জানিয়েছে। জাতিসংঘ এ ঘটনাকে জাতিগত নিধন বলে আখ্যা দেয়। এই জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এগিয়ে আসে সবাই।

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত মে মাসে তদন্ত কমিশন গঠন করে তদন্ত কাজ শুরু করে মিয়ানমার সরকার। দেশটি আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য না হলেও সেখানে সংঘটিত অপরাধের তদন্ত করার ক্ষমতা রাখে বলে আইসিসি জানায়।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌশলী আদালতের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে রোহিঙ্গাদের যেভাবে মিয়ানমার থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে সেটির তদন্ত করার এখতিয়ার আইসিসির কি না।

সে প্রেক্ষাপটে আইসিসি'র প্রি-ট্রায়াল চেম্বার রায় দিয়েছে যে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য না হলেও রোহিঙ্গারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের কারণে ঘটনার একটি অংশ বাংলাদেশে সংগঠিত হয়েছে। ফলে আইসিসি মনে করেছে রোম সনদ অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত করার ক্ষমতা আদালতের রয়েছে।

বিসফটি – বিস্তারিত জানুন

আরো পড়ুন-
‘সমকামী নারীকে প্রথমেই বেত্রাঘাতে ইসলামের গুণাবলি প্রকাশ পায়নি’
জেরুসালেম থেকে দূতাবাস সরানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলো প্যারাগুয়ে
‘আমাকে একটু বেশি মানুষ রিসিভ করেছে এতে দোষের কী?


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ