আওয়ার ইসলাম: সেপ্টেম্বরে চার মাস পূর্ণ হল মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত অভিযান। তবে থামেনি মাদক চোরাচালান।
এখনও দেশের সীমায় মাদক আসছে বিভিন্ন পথে। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাদক সরবরাহ সাময়িকভাবে কমলেও নির্মূলে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার বিকল্প নেই।
প্যাথেড্রিন, ফেনসিডিল, ইয়াবা প্রাণঘাতি এসব মাদকদ্রব্য কয়েক দশক ধরেই ঢুকছে দেশের সীমানায়। মাদকসেবীর সংখ্যাও বাড়ছে দিনকে দিন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০০৫ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পরে ২৩৯ ইয়াবা। এক যুগের ব্যবধানে তা বেড়ে কোটির অংক ছাড়ায়। ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসেই এই সংখ্যা ৪ কোটি ৭৩ লাখের বেশি।
এ বছরের ৪ মে মাদক নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে এসব অভিযানে নিহত হয়েছে ২৪৪ জন। আটক ১০ হাজারের বেশি।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, দেশের সীমান্ত এলাকা এখনও পুরোপুরি নজরদারিতে আনা সম্ভব হয়নি। যে কারণে মাদকদ্রব্যের চোরাচালানও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
এতোদিন প্রতিবেশি দেশের মধ্যদিয়েই বেশিরভাগ মাদকদ্রব্য আসলেও, সম্প্রতি বিমানবন্দরে ধরা পরেছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার নতুন ধরনের মাদক 'খাত'।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মাদক নির্মূল করতে আইন প্রয়োগে কঠোরতার পাশাপাশি রাষ্ট্রের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা থাকা জরুরি।
মাদক চোরাচালানের গড ফাদারদের সাময়িক নিষ্ক্রিয়তা বা আইনের ফাঁক গলে তাদের ছাড়া পাওয়া মাদক নির্মূলে বড় বাধা বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বিসফটি – বিস্তারিত জানুন
আরো পড়ুন-
‘সমকামী নারীকে প্রথমেই বেত্রাঘাতে ইসলামের গুণাবলি প্রকাশ পায়নি’
জেরুসালেম থেকে দূতাবাস সরানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলো প্যারাগুয়ে
‘আমাকে একটু বেশি মানুষ রিসিভ করেছে এতে দোষের কী?