আওয়ার ইসলাম: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক অপরাধীর সাজা ভোগ করছে অন্য ব্যক্তি। নামে মিল থাকায় টাকার বিনিময়ে ২২ মামলার দাগি আসামি নজরুল ইসলাম ওরফে নজু সর্দারের ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছে নজরুল ইসলাম গাজী।
কিন্তু গত ২৮ মে নজু সর্দার পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত হওয়ার পর কারাবন্দি নজরুল ইসলাম গাজীকে নির্দোষ দাবি করে তার আসল পরিচয় প্রকাশ করে স্বজনরা।
রাজধানীর রুপনগরের চলন্তিকা বস্তিতে ২০০৯ সালে মাদকবিরোধী অভিযান চালায় র্যাব-৪। ২২ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক হয় পুলিশের তালিকাভূক্ত আসামি নজরুল ইসলাম ওরফে নজু সর্দার। মামলা হয় পল্লবী থানায়।
ওই মামলায় ২০১৭ সালের জুলাই মাসে পলাতক অবস্থায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয় নজু সর্দারের। এর ৮ মাস পর অর্থাৎ চলতি বছরের ২০ মার্চ একই নামের অন্য এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। শুরু হয় সাজা ভোগ।
সাজা শুরুর দেড় মাস পর, ২৮ মে মিরপুরের রূপনগরে গোয়েন্দা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত হয় নজু সর্দার।
নজু সর্দার নিহত হওয়ার পর প্রশ্ন ওঠে সাজা ভোগকারী ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে। অনুসন্ধানে জানা যায়, আইনজীবীর যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে নজরুল ইসলাম গাজী।
মাকদের মামলার সাজা থেকে অব্যাহতি পেলেও, অর্থের বিনিময়ে স্বেচ্ছায় কারাভোগকারী নজরুল ইসলাম গাজীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
বিসফটি – বিস্তারিত জানুন
আরো পড়ুন-
‘সমকামী নারীকে প্রথমেই বেত্রাঘাতে ইসলামের গুণাবলি প্রকাশ পায়নি’
জেরুসালেম থেকে দূতাবাস সরানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলো প্যারাগুয়ে
‘আমাকে একটু বেশি মানুষ রিসিভ করেছে এতে দোষের কী?
