আওয়ার ইসলাম: কারা অভ্যন্তরে খালেদা জিয়ার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্তকে সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি সরকারের এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে দলটি।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারি করে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বকশিবাজার কারা অধিদপ্তরের মাঠ থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামীকাল (বুধবার) থেকে কারাগারে তার মামলা পরিচালনা করা হবে। এটা সংবিধানের ৩৫(৩) ধারা বিরোধী।’
সংবিধানের ৩৫ (৩) ধারা বলা আছে, ফৌজদারী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচারলাভের অধিকারী হইবেন।
সংবিধানে ওই ধারার বিষয়টি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ ধারায় সুস্পষ্ট লেখা আছে এ ধরনের মামলা প্রকাশ্যে হতে হয়। এটা অত্যন্ত সেনসেটিভ ইস্যু। কিন্তু এটা না করে কারাগারে বিচার করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে হয়রানি করা, আসন্ন নির্বাচন থেকে বিরত রেখে একদলীয় নির্বাচন চূড়ান্ত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই।’
ফখরুল বলেন, ‘এটাকে আমরা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছি। আমরা শিগগিরই রাজনৈতিক কর্মসূচি হাতে নেব।’
বিএনপির জরুরি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে বিকেল ৪টায় ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, জাপান, কানাডা, পাকিস্তান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মিশর সহ ১৮ টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দেশের চলমান সার্বিক পরিস্থতি নিয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা হয় বিএনপির।
আরও পড়ুন: কারাগারেই বসছে খালেদার আদালত
আরএম/