আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত মিয়ানমারের খুনিদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারসহ ৩ দফা দাবীতে ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলাম আগামী ৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে।বাদ জুমা বায়তুল মুকাররম উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
গত (সোমবার) রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারায় বাদ আছর ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের বৈঠকে এই কর্মসূচীর ঘোষণা করা হয়। হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর সভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, হেফাজতে ইসলাম কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। হেফাজতে ইসলাম ঈমান-আক্বীদাভিত্তিক একটি আধ্যাত্মিক সংগঠন। হেফাজতে ইসলাম কাউকে ক্ষমতায় বসানোর বা কাউকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার সিঁড়ি হিসেবে যেমন ব্যবহৃত হবে না, তেমনি হেফাজতে ইসলাম ঈমান-আক্বীদা, ইসলাম ধর্ম, ন্যায়-নীতি, ইনসাফ এবং জনগণ ও জাতীয় স্বার্থকে পাশ কাটিয়ে কারো সাথে আপোষ করেও চলবে না।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, শায়খুল হাদীস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা নাজমুল হাসান, মুফতী মুনির হোসাইন কাসেমী, মুফতী জাকির হোসাইন, মাওলানা মূসা বিন ইজহার, মাওলানা শরীফুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ ফায়সাল আহমদ, মাওলানা মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
হেফাজতের বৈঠকে গৃহীত ৩ দফা দাবী হচ্ছে-
১. ইসলাম নির্মূলবাদী নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে কঠোর আইন পাশ করে তা কার্যকর করতে হবে।
২. পূর্ণ নাগরিকত্ব, নাগরিক অধিকার এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আদায় করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে তাদের নিজে দেশে ফেরত নিতে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করতে বাংলাদেশ সরকারকে জোরদার কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।
৩. রোহিঙ্গা গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়ী-ঘরে অগ্নিসংযোগ এবং জাতি উচ্ছেদ অভিযানে জড়িত মিয়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধী ও খলনায়কদেরকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারকে জোরদার কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।
‘আমরা সব সময় চেয়েছি শেখ হাসিনাকে ইসলামের কাজে লাগাতে’
আরএম/