আওয়ার ইসলাম: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন আবেদন শুনতে বিব্রত বোধ করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বিব্রতবোধের এই ঘটনা ঘটে। বেঞ্চের একজন বিচারপতি বিব্রত বোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন আদালত।
আজ হাইকোর্টের বেঞ্চে জামিন আবেদনটি শুনানির তালিকায় ছিল। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, অমিত তালুকদার ও অরবিন্দ কুমার রায়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আবেদনটি আজ বেঞ্চের তালিকায় ছিল। বেঞ্চের একজন বিচারপতি বিব্রত বোধ করেছেন জানিয়ে আদালত আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। গত ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন।
এরপর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। এ অবস্থায় ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় হাইকোর্টে তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উস্কানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর আগের দিন রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে তুলে নেয় ডিবি। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।
মক্তব ভিত্তিক কুরআন শিক্ষা কি বিলুপ্তির পথে?
আরএম/