আবদুল্লাহ তামিম: মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের দায়ে দণ্ডিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে মুক্ত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের নতুন মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটি ন্যায় বিচারের সঙ্গে প্রতারণা। মিয়ানমারের উচিত অবিলম্বে এ দুই সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) এ দুই সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর থেরেসা মে’র একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা এই রায় এবং শাস্তিতে অত্যন্ত হতাশ। সাংবাদিকদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এক বিবৃতিতে বলেছে, এই রায় পর্যালোচনা করা উচিত এবং দুই সাংবাদিককে অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়া হোক।
সোমবার রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সোয়ে’কে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় মিয়ানমারের একটি আদালত। ইয়াঙ্গুনের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা জজ আদালতের বিচারক ইয়ে লুইন এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সোয়ে তথ্য সংগ্রহের সময় দেশের ঔপনিবেশিক যুগের রাষ্ট্রীয় গোপন আইন লঙ্ঘন করেছিলেন।
এ অপরাধে তাদের দু'জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হলো। গ্রেফতারের দিন থেকে তাদের এ সাজা কার্যকর হবে।
রায় ঘোষণার পর মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্কট মার্শেল বলেন, এখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য যারা কঠোর লড়াই করে যাচ্ছে, এ রায় তাদের সবার জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।
রায় ঘোষণার পর দুই সাংবাদিকের একজন ওয়া লোন বলেন, আমার কোনো ভয় নেই। কারণ, কোনো অপরাধ করিনি। আমি ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
সূত্র: রয়টার্স
ব্যবসার নিয়ে জটিলতার দিন শেষ – বিস্তারিত জানুন
‘বর্তমানে ইসলামিক স্কুল নির্মাণ মসজিদ নির্মাণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ’
তালাকের মহামারি; সমাজের দুই বাহুর ভাবনা!
এটি/আওয়ারইসলাম