আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বকেয়া পরিশোধ না করায় আরো ১১টি মামলা হয়েছে। ঢাকার শ্রম আদালতে করা এই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসানকেও আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমে বর্তমানে কর্মরত ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী তার বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। এই ১১টি মামলাসহ এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মোট ৯০টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনে এক-তৃতীয়াংশ শেয়ার রয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব পল্লীফোন ছাড়াও নকিয়া ও হুয়াওয়ের সার্ভিস দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা কর্মীদের মাঝে বণ্টন করে দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা দেয়া হয়নি বলে জানান অভিযোগকারীরা।
তাদের দাবি, ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফা হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এ মুনাফা কর্মীদের পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়াও গত দশকে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা ২১ হাজার কোটি টাকার ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১০৮ কোটি টাকা কর্মী ও সরকারকে দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই অর্থের ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের পরিশোধ, ১০ শতাংশ সরকার এবং ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কল্যাণ ফান্ডে জমা দেয়ার কথা।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান এবং এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাদী করা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় আরো ৭৯টি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০টি।
প্রসঙ্গত দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ব্যবসার নিয়ে জটিলতার দিন শেষ – বিস্তারিত জানুন
‘বর্তমানে ইসলামিক স্কুল নির্মাণ মসজিদ নির্মাণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ’
তালাকের মহামারি; সমাজের দুই বাহুর ভাবনা!
আরএম/