শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


কয়লা উধাওয়ে কর্মকর্তাদের অবহেলা প্রমাণিত: সংসদীয় কমিটি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ‘অবহেলা প্রমাণিত’ হয়েছে বলে মনে করছে সংসদীয় কমিটি।

তবে খনি থেকে কয়লা যে ‘চুরি’ হয়েছে তা এখনও প্রমাণ করতে পারেনি কমিটি।

বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের পর কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতির বিষয়টা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু এটা প্রমাণিত যে কর্মকর্তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। এবং এটা অপরাধ হিসেবে গণ্য না হওয়ার কারণ নেই।

কর্মকর্তাদের ‘অবহেলার’ কারণেই কয়লা মজুদের ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ এসেছে এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য প্রচলিত আইনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছে কমিটি।

কয়লার মজুদে ‘সিস্টেম লস’ হয়ে থাকলেও সেটা আগে থেকে হিসাবে ধরা হয়নি কেন- সে প্রশ্নও তুলে আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটিতে প্রতিবেদন উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

কয়লা না পাওয়ায় গত জুলাই মাসে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কয়লা উধাও হওয়ার বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা দিয়েই পাশের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চলত।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ইতোমধ্যে বলেছেন, অনেক দিন ধরেই কয়লা নিয়ে ‘দুর্নীতি’ চলছিল। কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় গত ২৪ জুলাই খনির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।

প্রাথমিক তদন্তে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ‘প্রমাণ পাওয়ার’ কথা জানিয়ে মামলার ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

বুধবার দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের পর কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহম্মদ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, কয়লা গায়েব হয়নি; যেটা পাওয়া যাচ্ছে না সেটা ‘সিস্টেম লস’।

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ