শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মিয়ানমার সেনাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনতেই হবে: জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা, নির্যাতন ও অন্যান্য অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সামরিক বাহিনীর হামলা ও নির্যাতন থেকে পালিয়ে রক্ষা পাওয়া কয়েকশ’ সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি জানানো হয়।

প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বর্মি সামরিক বাহিনীর ভয়াবহ সহিংসতার তীব্র নিন্দাও জানানো হয়েছে।

গত বছরের ২৫ আগস্ট ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এটাই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সবচেয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা ও সমালোচনা।

জাতিসংঘের ভাষায়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গৃহীত কৌশলগুলো বাস্তবে থাকা নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির সঙ্গে ‘ধারাবাহিক এবং প্রবলভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’।

অর্থাৎ যতটা ঝুঁকি বাস্তবে আছে, সেনাবাহিনীর নেয়া প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থাগুলো তার চেয়ে অনেক বেশি কঠোর ও নির্মম।

প্রতিবেদনটিতে ৬ জন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তার নাম-পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে যাদেরকে এজন্য বিচারের আওতায় আনা দরকার বলে মনে করে জাতিসংঘ।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এই সহিংস অভিযান ঠেকাতে বা হস্তক্ষেপ করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘ মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেতা এবং রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’রও ব্যাপক সমালোচনা করেছে ওই প্রতিবেদনে।রোহিঙ্গা-মিয়ানমার-সেনাবাহিনী-সেনা কর্মকর্তা-জাতিসংঘ

এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) তোলার আহ্বানও জানিয়েছে এই আন্তর্জাতিক সংগঠন।

রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের অভিযোগ অবশ্য মিয়ানমার সরকার বারবারই অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, সেনাবাহিনী জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেই এসব অভিযান, সাধারণ মানুষদের লক্ষ্য করে নয়।

তবে জাতিসংঘ প্রতিবেদনে এর প্রতিবাদ করে বলেছে, যে সব মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য-প্রমাণ জাতিসংঘের কাছে আছে সেগুলো অস্বীকার, দায়মুক্তি বা স্বাভাবিক অবস্থা হিসেবে দাবি করার চেষ্টা একেবারে হতবাক করে দেয়ার মতো।

‘সামরিক প্রয়োজনীয়তা কখনোই নির্বিচারে হত্যা, নারীদের দলবদ্ধ ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন এবং পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার মতো কাজকে ঠিক বলে দাবি করতে পারে না,’ প্রতিবেদনে বলা হয়।রোহিঙ্গা-মিয়ানমার-সেনাবাহিনী-সেনা কর্মকর্তা-জাতিসংঘ

গণহত্যা যে কোনো সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ। জাতিসংঘের অনুসন্ধানকারীদের পক্ষ থেকে খুব কমই এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়।

কিন্তু টানা অনুসন্ধান ও সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়ে এবার জাতিসংঘ যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ কারণেই প্রকাশিত প্রতিবেদনে সরাসরি গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়েরের দাবি জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন–
তুরস্ক বিশ্বরেকর্ড করলো রকেট উৎপাদনে
মানসিক হাসপাতালে শত শত ইসরায়েলি সেনাকে ভর্তি করতে হচ্ছে
ধর্ষণের কারনে চার্চে যাওয়া কমেছে ২০ শতাংশ, প্রতিবাদের মুখে পোপ

ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক

এটি/আওয়ার ইসলাম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ