সুফিয়ান ফারাবী
আওয়ার ইসলাম
তার নাম মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী। মাহফিলের স্টেজে তাকে যেমন পরিপাটি দেখা যায় বাস্তব জীবনে তারচেয়েও বেশি। নিজের বাসা বাড়ি, খানকা, মসজিদ সবই তিনি দেখতে চান অপার সৌন্দর্যে ঢাকা।
রুচিশীল ও উচ্চবিলাসী এ মানুষটির মাদরাসায় গিয়েছিলাম গতকাল। ঢাকার অদূরে সাভারের সুগন্ধা হাউজিংয়ে তার মাদরাসা মারকাজুত তাকওয়াহ। আধুনিকতা ও ইলমি পরিবেশে বেড়ে উঠছে এখানকার ছাত্ররা। মানসম্মত আবাসন, স্বাস্থ্যানুকূল খাবার দাবার সবই হয় মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহর মন মতো।
তবে গুরুত্ব শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয়র প্রতি দেন নি মাওলানা আইয়ূবী। উচ্চমানসিকতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন একটি আধুনিক লাইব্রেরি করেও। তার লাইব্রেরিতে প্রায় হাজার বইয়ের সমারোহ। মোটামুটি চলে এমন ছাপা পছন্দ করেন না তিনি। লাইব্রেরিতে স্থান পেতে একটি বইকে অবশ্যই স্পষ্ট লেখা ও উন্নত বাঁধাইয়ের হতে হয়। প্রয়োজনে একশ টাকার জায়গায় দুইশো টাকা খরচ করেন তিনি।
কখনো কখনো বাংলাদেশি ছাপা বাদ দিয়ে মিশরের প্রসিদ্ধ প্রকাশনী ‘আল কাহেরার’ কপি সংগ্রহে রাখেন। যেমন প্রসিদ্ধ ফিকাহের গ্রন্থ ‘আল ফিকহু আলাল মাজাহিবিল আরবাআ’। এটার হিন্দুস্তানি নুসখা আছে। কিন্তু তিনি সেল্ফে সাজিয়েছেন কাহেরার ছাপানো মিশরীয় নুসখা।
কিতাব উন্নত হবে কিন্তু বুকসেল্ফ হবে আদি কালের এমনটা মানতে পারেন না ওয়ায়েজ খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী। তাইতো কিতাবের সাথে সাথে অাভিজাত্য প্রকাশ করে এমন বুকসেল্ফই স্থান দিয়েছেন তার মাকতাবায়।
এতো পরিমান অর্থ ব্যয় করে মাকতাবা করার কারণ জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলাম মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবীর কাছে।
উত্তরে বললেন, আসলে যুগের চাহিদাটা এ রকমই। ছাত্রদের গার্জিয়ানরা চায় তাদের ছেলে মেয়ে ভালো, উন্নত মাদরাসায় পড়ুক। স্কুল কলেজে যেমন সুন্দর সুন্দর লাইব্রেরি থাকে মাদরাসায়ও তারা এরকম দেখতে চায়। যুগের এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই আমরা গড়ে তুলেছি মারকাজুত তারবিয়াহ। মানসম্মত লাইব্রেরি।
ব্যবসায় হিসাবের দুঃশ্চিন্তা দূর করতে এলো বিসফটি- ক্লিক
-আরআর