আওয়ার ইসলাম: অনলাইনে আয় করা সম্ভব এটি হয়তো আপনারা সকলেই জানেন। কিন্তু আপনাদের ভেতর অনেক পাঠকগণদের এটা জানা নেই যে কি কি উপায়ে অনলাইনে আয় করা সম্ভব। অনলাইনে আয় করার জন্য বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে। এই ওয়েবসাইটগুলোর কাজ হচ্ছে, বায়ার এবং সেলারের মধ্যে কমিউনিকেশন বিল্ডআপ করে দেয়া এবং বায়ার তার কাজ ও সেলার তার আয় যাতে বুঝে পায় সে ব্যবস্থা করা। বিনিময়ে এসব সাইটগুলো কাজের বাজেটের ওপর একটা নির্দিষ্ট কমিশন পায়।
অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় ৫ ওয়েবসাইট হলো:
১. আপওয়ার্ক: আপওয়ার্ক হচ্ছে একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। আপওয়ার্ক এ দেশি বিদেশি প্রায় ১ কোটি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে। আপওয়ার্ক এর প্রাক্তন নাম ছিল ওডেস্ক। ওডেস্ক ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে এর নতুন নামকরণ হয় আপওয়ার্ক।
আপওয়ার্ক এ সেলাররা দুভাবে কাজ করে। প্রথমটি হলো, প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য "একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য" হিসেবে অপরটি হলো "প্রতি ঘণ্টা কাজের জন্য অর্থ" হিসাবে বা আওয়ারলি জব। এই মার্কেটপ্লেসে প্রায় সব ধরনের কাজের সুযোগ আছে।
আপওয়ার্ক থেকে পেওনিয়ার ডেবিট মাস্টারকার্ড, মানিবুকার্স এবং ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা যায়।
২. ফাইভার: মাত্র ৮ বছর আগে যাত্রা শুরু করে ফাইভার। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় এই মার্কেটপ্লেসটি। কাজের ধরন হচ্ছে, সেলার একটি গিগ ক্রিয়েট করবে এবং বায়ার তা কিনে নেবে।
ক্লায়েন্টরা গিগ কেনার মাধ্যমে সেবা নিয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের গিগকে মাত্র ৫ ডলার থেকে সেলের জন্য অফার করতে পারে। এই মার্কেটপ্লেসে প্রায় সব ধরনের কাজের সুযোগ আছে।
অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের তুলনায় এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করা কিছুটা সহজ। ফাইভার থেকে পেওনিয়ার ডেবিট মাস্টারকার্ড, পেপাল, ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা যায়।
৩. ফ্রিল্যান্সার: ফ্রিল্যান্সার ডট কম ফ্রিল্যান্সারদের জন্য খুব বড় একটি মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত বিড করার মাধ্যমে কাজ পেয়ে থাকে।
অর্থাৎ ক্লায়েন্টরা এখানে জব পোস্ট করে এবং ফ্রিল্যান্সার বিড করার মাধ্যমে কাজ পেয়ে থাকে। এই মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, প্রোগ্রামিংসহ প্রায় সব ধরনের কাজের জন্য বিড করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সার ডট কম থেকে ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে খুব সহজেই অর্থ উত্তোলন করা যায়।
৪. নাইনটি নাইন ডিজাইন: ৯৯ ডিজাইন মূলত গ্রাফিকস ডিজাইনারদের জন্য। এই মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিকস কন্টেস্ট আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ কন্টেস্ট আয়োজনে অনেক সেলাররা অংশগ্রহণ করে এবং তাদের ডিজাইন জমা দেয়।
বায়ার সবার ডিজাইন দেখে যেটা তার পছন্দ হয় সেটা নির্বাচন করে এবং একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নাইনটি নাইন ডিজাইন মার্কেটপ্লেসে নতুনরা গ্রাফিকস ডিজাইন কন্টেস্ট অংশ নেয়ার মাধ্যমে তাদের নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে থাকে।
৫. পিপল পার আওয়ার: যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো পিপল পার আওয়ার। এই মার্কেটপ্লেসে আপনি ফাইভারের মতো আপনার সার্ভিস সেল করতে পারবেন, আবার ফ্রিল্যান্সার ডট কমের মতো জবে বিড করতে পারবেন।
এই মার্কেটপ্লেসে প্রায় সব ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। পিপল পার আওয়ারে ফিক্সড এবং আওয়ারলি জব করা যায়।
এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে শুধু অ্যাকাউন্ট করলেই আয় করা যাবে না। আয় করতে হলে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত যে কোনো একটি কাজ শিখে কাজ শুরু করতে পারবেন। পূর্বপশ্চিম।
ব্যবসার হিসাব নিয়ে জটিলতা আর নয়, ক্লিক করুন
আরও পড়ুন: দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার সবচেয়ে কার্যকর এবং বিজ্ঞানসম্মত ৮ উপায়
আরএম/